॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার প্রতিকারের জন্য এলাকাবাসী লোকজন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত প্রেরণ করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, পাংশা উপজেলার বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল খালেক বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ন ও দুর্নীতি করে চলেছেন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
জানাগেছে, তিনি ২০১১ সালে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি যখন উক্ত পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তখন বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়মিত কোনো ম্যানেজিং কমিটি ছিল না। বিদ্যালয়টি এডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হতো। বিধি মোতাবেক এডহক কমিটি কোনো পদে নিয়োগ দান করতে পারে না। ০১-০৭-২০১৫ হতে ৩০-০৬-২০১৬ এবং ০১-০৭-২০১৬ হতে ৩০-০৬-২০১৭ দুই বছরের পুকুর লীজ মানি ৮০হাজার টাকা যথাযথভাবে বিদ্যালয়ের একাউন্টে জমা না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল খালেক আত্মসাত করেছেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সেকায়েফ প্রকল্পের ৪লাখ টাকা অনুদান ব্যায়ে চরম অসংগতি, সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য, ৮ম শ্রেণি ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নাম রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত ফি আদায়, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দাখিলা ফরম পূরণে নির্ধারিত বোর্ড ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং বিদ্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগদানের কার্যক্রম গ্রহণ না করে স্থানীয়ভাবে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগদান করে তিনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।