॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির হাবাসপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক জমির উদ্দিন মাস্টারের দখলীয় বাঁশ ও আমবাগানের গাছ কেটে তছনছ করাসহ কয়েকশতাংশ জমি প্রতিপক্ষের আব্দুল লতিফ মল্লিক গং জবরদখল করে নিয়েছে।
জবরদখল করে বাঁশ-আমসহ অন্যান্য ফলজ ও বনজ গাছ কাটা নিষেধ করায় তাকে জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির উদ্দিন মাস্টার আব্দুল লতিফ মল্লিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির উদ্দিন মাস্টার জানান, তিনি সাতবাড়ীয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। হাবাসপুর গ্রামের বাড়ীতে মাঝেমধ্যে এসে জায়গা জমি দেখভাল করেন। হাবাসপুর পদ্মা নদীর বেড়ীবাঁধের পাশে তার ৪৯ শতাংশ জমিতে ফলজ, বনজ বাগান ও আবাদী জমি রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ীতে এসে দেখতে পান প্রতিপক্ষের আব্দুল লতিফ মল্লিকের নেতৃত্বে সহযোগী আরও কিছুসংখ্যক লোকজন জোর করে ওই বাগানের প্রায় দুই শতাধিক বাঁশ ও কিছু ফলবান গাছ কর্তন করে জমি জবর দখল করে নিয়েছে। বাঁশ ও ফলবান গাছ কাটার ফলে তার ৩৫/৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জমির উদ্দিন মাস্টার আরো জানান, বিগত কয়েক বছর যাবত প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে নানা ভাবে ক্ষতিসাধনের জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ আদালতে মিসপি নং-৫৭৫/০৭, মিসপি নং-৫৬৮/১৭, মিসপি নং-১২৯৯/১৭ দায়ের করেন। সর্বশেষ গত ২১শে মে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাগান থেকে বাঁশ ও আমগাছ কাটার নমুনা দেখা যায় এবং জমির মাস্টারকে উদ্দেশ্য করে প্রতিপক্ষের লোকজনের উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলতে শুনা যায়।