শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বালু ব্যবসায়ী শাফিন খুনের ঘটনায় ৫জনের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

॥পাংশা প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধের অদূরে চর ঝিকড়ী মাঠের আখ ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার আমবাড়ীয়া গ্রামের বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান অরফে শাফি(৪০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় গতকাল ১৮ই ডিসেম্বর নিহতের ভাই ফরিদ হাসান খান বাদী হয়ে একই এলাকার ৫জনকে আসামী করে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পাংশা মামলা নং-৬, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। গত ১৭ই ডিসেম্বর দুপুরে চর ঝিকড়ী মাঠের জনৈক মফিজ উদ্দিন মন্ডলের আখ ক্ষেত থেকে খোকসার আমবাড়ীয়া গ্রামের আবু বক্কার খানের ছেলে মাটি ও বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান অরফে শাফির মৃতদেহ উদ্ধার করে পাংশা থানা পুলিশ।
মামলার বাদী নিহতের ভাই ফরিদ হাসান খান জানান, শাফিন খান অরফে শাফি দীর্ঘ ১৮বছর যাবৎ সৌদি আরবে চাকুরী করে বিগত ৪বছর পূর্বে বাড়ীতে আসেন। কিছু দিন বেকার থাকার পর ১বছর পূর্বে সে মাটি ও বালুর ব্যবসা শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে বিভিন্ন ইটভাটায় সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে। পরবর্তীতে প্রায় ৬মাস যাবৎ ড্রেজারের মাধ্যমে বালুর ব্যবসা শুরু করে সে। মাটি ও বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমবাড়ীয়া বাড়ইপাড়া গ্রামের মৃত ছালাম মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লা, ছাত্তার মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা, আবু মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা, মৃত মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা ও ভবানীগঞ্জ গ্রামের রহিম মাষ্টারের ছেলে সুমনের সাথে শাফিন খানের বিরোধ ও মামলা চলে। গত ১৬ই ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে অজ্ঞাতনামা লোকের আহবানে বাড়ী থেকে বের হন শাফিন খান। রাত আনুমানিক সোয়া ৬টার পর হতে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে বাড়ীতে না ফেরায় বাড়ীর লোকজন চিন্তাযুক্ত হয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। গত ১৭ই ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে চর ঝিকড়ী মাঠের আখ ক্ষেতে শাফিন খানের মৃতদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে খবর পান পরিবারের লোকজন। তার মাথার পেছনে ও মুখে রক্তাক্ত জখম ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। গত ১৬ই ডিসেম্বর রাত সোয়া ৬টা থেকে ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৬টার পূর্বে রাতের আধারে যে কোনো সময়ে অজ্ঞাত খুনীরা মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের পরস্পর যোগসাজসে শাফিন খানকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাথা ও মুখমন্ডলে আঘাত করে বা অন্য কোনো উপায়ে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য আখ ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের লোকজনের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাংশা থানার এসআই মোঃ শাহীন মোল্লা মামলাটি তদন্ত করছেন। খুনের মোটিভ উদঘাটনসহ আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!