রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, রাজবাড়ী শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ করে আওয়ামী লীগের জনসভা আবারও প্রমাণ করলো দেশে বিন্দুমাত্র গণতন্ত্র নাই।
গতকাল এক বিবৃতিতে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, অবাক বিস্ময়ের সাথে রাজবাড়ীবাসী প্রত্যক্ষ করলো বিএনপিকে কোন সভা-সমাবেশ, মিছিল কিংবা ঘরোয়া সভা করতে পুলিশ বাঁধা দিলেও সকাল থেকে রাস্তা বন্ধ করে শহরের প্রধান সড়কের উপর মঞ্চ তৈরী করে আওয়ামী লীগ জনসভা করে তাদের স্বৈরাচারী মনোভাবের উৎকট প্রকাশ ঘটালো। মাত্র কয়েকদিন আগে গত ১১ই নভেম্বর জেলা বিএনপি একটি সভা করার উদ্যোগ নিলে অনুমতি দেয়া হয় নাই। বিএনপি পার্টি অফিসের সামনের চত্বরে করতে গেলেও মাইক-চেয়ার তুলে দেয়া হয়। নেতাকর্মীদের সভাস্থলে আসতে দেয়া হয় নাই। অথচ শহরের রেলগেটমুখী প্রধান সড়কের উপর মঞ্চ করে পুরো রাস্তায় কয়েকশত চেয়ার পেতে দিনভর মানুষকে কষ্ট দিয়ে আওয়ামী লীগ জনসভা করে তাদের হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। কয়েকদিন ধরে ঢাকঢোল পিটিয়ে জনসভার আয়োজন করলেও জনগণের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বিএনপি সুযোগ পেলে এর শতগুন বড় সমাবেশ করতে পারে। এই চ্যালেঞ্জ নিতে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের এই জনসভা প্রকৃত অর্থে জনগণ বর্জন করেছে। দেশে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায়। ওই জনসভায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সকল অশোভন ও মিথ্যা বক্তব্য দেয়া হয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবী করে আমরা সংগ্রাম করে আসছি। সরকার দেশের সব ক্ষেত্রেই ভোট ডাকাতির যে সংস্কৃতি চালু করেছে তা গোটা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এখন আগামী নির্বাচনে তাদের নিশ্চিত ভরাডুবি বুঝতে পেরে তারা পাগলের প্রলাপ বকছে। তাদের কোন ষড়যন্ত্রই আগামী নির্বাচনে তাদের পতন রোধ করতে পারবে না। আমরা দাবী করি, অনতিবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসাবে বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে হবে -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।