॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী মাঠপাড়া গ্রামে খালাতো শ্যালিকাকে পূর্বক ধর্ষণ ও গর্ভধারণের ঘটনায় দূলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৯ই মে ওই যুবতী বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করে।
রাজবাড়ী থানার মামলা নং-১৮, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) ৯(১)। মামলার আসামী হলো ঃ সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের মৃত আহাদুল রহমান ওরফে চাঁদনের ছেলে আঃ মালেক মন্ডল(৩৩)।
মামলা সুত্রে জানাযায়, ওই যুবতী চন্দনী টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার বাবা-মা নারায়নগঞ্জে চাকুরী করায় বাড়ীতে সে চাচাদের সাথে বসবাস করতো। আঃ মালেক তার খালাতো দূলাভাই। সে কারণে মালেক ওই বাড়ীতে মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসতো। বিগত ২০১৭ সালের ২৩শে ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে মালেক ওই বাড়ীতে বেড়াতে আসলে ওই ছাত্রী তার শোবার ঘরে তাকে বসতে দেয়। এ সময় তার চাচাতো ভাবী রান্না করছিল এবং তার দাদী বাড়ীর বাইরে ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে তার ভাবী মালেককে নাস্তার দেয়ার জন্য বলে। এ সময় সে খালাতো দূলাভাইকে নাস্তা দিতে গেলে মালেক তাকে ঝাপট ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় সে চিৎকার দিতে গেলে মালেক তাকে থাপ্পর মেরে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে মালেক বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পর সে লজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখে। কিন্তু তার শরীরে পরিবর্তন দেখালে গত ৭ই মে তাকে রাজবাড়ীর রাবেয়া(প্রাঃ) হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়। এ সময় ডাক্তার জানান তার পেটে ৫মাসের বাচ্চা রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী আঃ মালেক মন্ডলকে আসামী করে রাজবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করে।