॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের পূর্ব ভবদিয়ায় শ্বশুর বাড়ী থেকে গতকাল ১লা জানুয়ারী সকালে হ্যাপী আক্তার বৃষ্টি(২০) নামে ৪মাসের অন্তস্বত্ত্বা এক গৃহবধুর লাশ থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। সে স্থানীয় ইমরান শেখের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ী মাদারীপুর জেলা সদরের মিঠাপুর গ্রামে।
বৃষ্টির শ্বশুর বাড়ীর লোকজন জানায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে ঘরের মধ্যে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। এর কিছুক্ষণ পরে বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সে মারা যায়।
নিহতের খালা শিউলী আক্তার জানান, এক বছর আগে তার ভাগ্নি বৃষ্টিকে ইমরানের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। সে সময় ইমরান ঢাকা থাকতো। বিয়ের সময় ঢাকার গাবতলী এলাকায় ২লক্ষ টাকা দিয়ে ইমরামকে একটি দোকান করে দেয়া হয়। সেই দোকান লোকসান করে সে গ্রামের বাড়ীতে চলে আসে এবং বৃষ্টিকে শারিরীক নির্যাতন শুরু করে। বৃষ্টি নির্যাতন সহ্য করেই স্বামীর সংসার করছিল। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি মোবাইলে বৃষ্টির সাথে কথা বলেন। সে সময়ে বৃষ্টি তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী বলে নুডুস রান্না করছি। এর কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বৃষ্টির মারা যাওয়ার খবর পান।
তিনি অভিযোগ করেন, বৃষ্টি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ফাঁস দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
রাজবাড়ী থানার এস.আই মাসুদুর রহমান জানান, গতকাল ১লা জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।