রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রা -প্রেক্ষাপট রাজবাড়ী জেলা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

## মোঃ শওকত আলী, জেলা প্রশাসক, রাজবাড়ী ## ২০২০ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী। আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হবে। এ সময়ের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র, ক্ষুধা, অশিক্ষা দূর করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার রূপকল্প-২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি মানে শুধু সর্বত্র কম্পিউটার ব্যবহার নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচনসহ সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রযুক্তির লাগসই প্রয়োগের একটি আধুনিক দর্শন। ডিজিটাল বাংলাদেশ দর্শনের মূল বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, সর্বত্র স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং সর্বোপরি সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। এসব কাজের একটিই লক্ষ্য। তাহলো-সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনমানের উন্নয়ন করা।
এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এর কারণ মূলতঃ আমাদের সাম্প্রতিক অর্জন। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ সামাজিক প্রায় সব সূচকে বৃহৎ প্রতিবেশীসহ অনেককে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের South-South Co-operation Visionary Award, International Telecom Union থেকে WSIS Award থেকে WITSA এবং Global ICT Excellence Award সহ অনেক পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। এ অর্জন আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ফসল। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন, জাতি আজ তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণে ব্রতী হয়েছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের সর্বস্তরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয়েছে। যা জনগণ ও প্রশাসনের মধ্যে সৃষ্টি করেছে এক সেতুবন্ধন।
সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। আমাদের অতি-দারিদ্রের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। শহর এবং গ্রামীণ উভয় অঞ্চলেই আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পানি সরবরাহ এবং পয়ঃসেবার মত মৌলিক বিষয়ে অধিকতর সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ। এমডিজি বাস্তবায়নের প্রেরণা এবং এমডিজি’র সাফল্যের উপর ভর করেই এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এমডিজি থেকে এসডিজির পরিসর অনেক বড়। এমডিজি অর্জনে আমাদের দেশ সারা বিশ্বে সাফল্য দেখিয়েছে। সবাই পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে এসডিজি অর্জনও সম্ভব। এ জন্য সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
দেশের মানুষকে আজ কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রশাসন, বাণিজ্য, ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসসহ নানা ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে দুয়ার থেকে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে হয়না। জনগণ খুব সহজেই এডুকেশন লাইন, টেলি হেলথ, কৃষি জিজ্ঞাসা, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মোবাইল রেমিটেন্স সার্ভিস, রেলওয়ে টিকিট ক্রয়, বিবিসি জানালা, মোবাইল ব্যাংকিং, হজ্জ্ব তথ্য, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, প্রবেশপত্র সংগ্রহ, রেজাল্টসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা ইন্টারনেট থেকে গ্রহণ করতে পারছে। স্কাইপি, ভাইবারসহ নানা অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলতে পারছে। ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটারসহ নানা মাধ্যমে আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। একে আরও সহজলভ্য করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস চালু করেছে। বিশ্বব্যাংকের মান অনুযায়ী গত ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের দেশ এখন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
একটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক সার্বজনীন মডেল। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে অন্যতম। গত ৭ বছরে দেশে গড়ে ৬.৫ শতাংশ হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত অর্থ-বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.১১ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ১হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমাদের রপ্তানী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফলশ্রুতিতে দারিদ্রতার হার দ্রুতগতিতে হ্রাস পাচ্ছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং-সম্পূর্ণ। খাদ্যশস্য উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিসর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৮ সালের মধ্যে সকল গৃহহীন পরিবারকে গৃহ দেয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বিগত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে রাজবাড়ী জেলায় ৭১১টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে আরও ১,৫০০ গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে এবং বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে কমপক্ষে ৩০ ধরণের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা দেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দেশের জনগণ কমপক্ষে ২০০ ধরণের সরকারি সেবা পাচ্ছেন। সরকার মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ইতোমধ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় রাজবাড়ী জেলাও পিছিয়ে নেই। পদ্মা, হড়াই, গড়াই, চন্দনা, কুমার আর চত্রা নদীর পলিবাহিত এককালের ‘বাংলার প্রবেশদ্বার’ বলে পরিচিত গোয়ালন্দ মহকুমা আজকের রাজবাড়ী জেলা। রাজবাড়ী জেলার প্রধান দু’টি সমস্যা নদী ভাঙ্গন এবং বিদ্যুৎ। নদী ভাঙ্গনের কারণে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ও ঐতিহ্যবাহী দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হুমকীর সম্মুখীন। রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেজ-২) এর আওতায় ৩৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই একনেক সভায় অনুমোদন করেছেন। শীঘ্রই উক্ত প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। অপরদিকে, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক দাখিলকৃত ‘পাটুরিয়া এবং দৌলতদিয়া ঘাটের আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ নদী বন্দর আধুনিকায়ন’ শীর্ষক ৮৫০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি বর্তমানে প্রি-একনেকে রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে অচিরেই নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান হবে।
এ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া জেলার উপর নির্ভরশীল। আমাদের মূল সমস্যা গ্রীড সাব-স্টেশন নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি গ্রীড সাব-স্টেশন নির্মাণের চুক্তি জার্মান কোম্পানী সিমেন্সের সাথে ইতোমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে এবং এটির কাজ আগামী ১৫ মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ভেড়ামারা-ফরিদপুর ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন হতে রাজবাড়ী গ্রীড সাব-স্টেশন পর্যন্ত ৫ কিঃ মিঃ এক্সটেনশন লাইন ও রাজবাড়ী হতে ভেড়ামারা পর্যন্ত উক্ত সঞ্চালন লাইনের ৮০ কিঃ মিঃ স্ট্রেন দেনিং কাজ মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানীকে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফরিদপুর হতে রাজবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘদিনের পুরানো ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের পাশ দিয়ে আরও একটি ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের কাজ ওজোপাডিকো কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ওজোপাডিকোর সাব-স্টেশনের সক্ষমতা আরও ১০ এমভিএ বৃদ্ধিসহ অভ্যন্তরীণ লাইনের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও মাননীয় সংসদ সদস্য, রাজবাড়ী-১ মহোদয়ের উদ্যোগে রাজবাড়ী জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের তরফ হতে আপনাদের কাছে ব্যক্ত করছি যে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার বিদ্যুৎ সমস্যার একটি পরিপূর্ণ সমাধান হবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এলজিইডি কর্তৃক দাখিলকৃত ৩৮০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাজবাড়ী হতে দৌলতদিয়া, রাজবাড়ী হতে ফরিদপুর, রাজবাড়ী হতে পোড়াদহ এবং রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রেললাইন চালু আছে। এ সকল রুটে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ডাবল লাইন করা হলে সড়কপথে চাপ কমবে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এ অর্থ দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস ও আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলার তিনটি পৌরসভা, পাঁচটি উপজেলা পরিষদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, প্রাণি সম্পদ বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, সমবায় বিভাগ, যুব উন্নয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিসিক, পরিসংখ্যান বিভাগ, মহিলা বিষয়ক বিভাগ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, নির্বাচন অফিস, শিশু একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী, পাট অধিদপ্তর, বিএডিসি, বিআরডিবি, রেশম সম্প্রসারণ বিভাগ, কৃষি বিপণন বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, বন বিভাগ, সমাজসেবা বিভাগ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগেও সারা দেশের ন্যায় ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সর্বোপরি, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন তার জনসেবাধর্মী উদ্ভাবনী পরিকল্পনার আওতায় ৩ (তিন) বছর মেয়াদি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!