॥মোক্তার হোসেন॥ সরকারের পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক হিসেবে পরিচিত অতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পরিসংখ্যান বিভাগ। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে এ দপ্তরের বেহাল চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের ফলে দাপ্তরিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতি বছর ২০শে অক্টোবর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস হিসেবে পালিত হলেও পাংশা উপজেলাতে এ দিবসের কোনো কর্মসূচী পালন করা হয় না।
জানাযায়, পাংশা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘ ৫বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এছাড়াও পরিসংখ্যান তদন্তকারী কর্মকর্তার পদও শূন্য রয়েছে। জুনিয়ন পরিসংখ্যান সহকারী পদে একিউএম মহিউদ্দিন ও আতাউর রহমান, ডাটা এট্রি অপারেটর পদে জাহাঙ্গীর কবির ও চেইনম্যান পদে এমএ কুদ্দুস পাংশা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে কর্মরত রয়েছেন।
জুনিয়ন পরিসংখ্যান সহকারী আতাউর রহমান জানান, জুলাই থেকে শুরু হবে জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র(এনএসডিএস) প্রণয়ন কর্মসূচী। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পাংশা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের পদটি শূন্য রয়েছে।
তিনি জানান, সরাসরি উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলেও পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে পরিসংখ্যান অফিস।
তিনি আরো জানান, পাংশাসহ রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলাতে পরিসংখ্যান কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। জেলার উপ-পরিচালকের পদও শূন্য রয়েছে। ফরিদপুর জেলা অফিসের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী বিশ্বাস দায়িত্বে রয়েছেন। দাপ্তরিক প্রয়োজনে সেখানে গিয়ে সই-স্বাক্ষর করিয়ে আনা হয় বলে জানান তিনি।