১৫ আগস্ট, ২০১৮ জাতীয় শোক দিবস ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী। এটি বাঙালি জাতির সবচাইতে হদয় বিদারক মর্মস্পর্শী শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। স্বাধীনতা বিরোধী কিছু উচ্ছৃঙ্খল কুচক্রীর হাতে সেদিন প্রাণ দিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
নৃশংস ওই ঘটনায় বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরো যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন ঃ জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। খুনিদের বুলেটে সেদিন আরো প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ, রিন্টু খানসহ অনেকে।
শোকাবহ এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি। একই সাথে জাতীয় শোক দিবসে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে সে-দিনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
চক্রান্তকারী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করতে চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের, আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি বরং এদেশের নতুন প্রজন্ম আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে বলে বাংলাদেশ আজ একটি সুখী-সমৃদ্ধ, জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক দেশ হিসাবে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের(এলডিসি) শ্রেণি থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, রাজবাড়ী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আসুন, জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে আত্মনিয়োগ করি।
(মোঃ শওকত আলী)
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।