# মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন # ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে হজ্ব কোরআন ও হাদিসের বিধান অনুসারে আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম মুসলমান নর-নারীর উপর জীবনে একবার হজ্ব করা ফরজ। আর এ হজ্বের জন্য একজন হজ্বযাত্রীকে সৌদি আরবের মক্কা শরীফে গমন করে হজ্বের আরকান ও আহকাম পালন করতে হয়। ফলে হজ্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সরকারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জড়িত। এ ছাড়া দেশের অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এ কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। বাংলাদেশে হজ ব্যবস্থাপনার এ পুরো বিষয়টি সমন্বয় করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সমন্বয় করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গত দশ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছে।
২০০৯ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনার আলোকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়। সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় হজ্বনীতি ২০১০-২০১৪ প্রণয়ন করে এই হজ্বনীতিকে ভিত্তি করে পরবর্তীতে জাতীয় হজ্বনীতি-২০১৫-০১৬, জাতীয় হজ্ব ও ওমরাহ নীতি-২০১৫, জাতীয় হজ্ব ও ওমরাহনীতি ২০১৭ এবং সর্বশেষ জাতীয় হজ্ব ও ওমরাহনীতি ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। হজ্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এ হজনীতি একটি সমন্বিত নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করছে। আধুনিক, যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর কাঠামোর উপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যেই এ হজনীতি।
পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদিত হয় সৌদি আরবের মক্কা আল-মোকাররমায়। সৌদি আরব পর্বে বাংলাদেশের সার্বিক হজ্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পাদনের দায়িত্ব কাউন্সেলর(হজ্ব) এর উপর ন্যস্ত। হজ্ব সংশ্লিষ্ট মোয়াছসাসা অফিস, মোয়াল্লেম অফিস, মক্কা গভর্নর অফিস, ইউটিলিটি অফিসসমূহ, হজ্বযাত্রীদের আবাসন ইত্যাদি মক্কায় অবস্থিত। সঙ্গত কারণেই পাকিস্তানের ডাইরেক্টর জেনারেল(হজ্ব) অফিস এবং ভারতের ডাইরেক্টর(হজ্ব) অফিস মক্কায় রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের কাউন্সেলর(হজ্ব) এর কার্যালয় (হজ্ব উইং) জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ ভবনে থাকার ফলে কাউন্সেলর(হজ্ব) কে প্রতিনিয়ত জেদ্দা-মক্কা-জেদ্দা যাতায়াত করে হজ্বের কার্যক্রম সম্পাদন করতে হতো। ফলে হজ ব্যবস্থাপনা অহেতুক প্রলম্বিত হতো এবং সরকারী অর্থেরও অপচয় হতো। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হজ উইংয়ের অফিস জেদ্দা হতে মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশনে স্থানান্তর করা অতীব জরুরী হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজ্ব উইংয়ের কার্যালয় জেদ্দা থেকে মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশনে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করা হয়। সৌদি সরকারের বাধ্যবাধকতার কারণে হজ্ব মৌসুম তথা চার মাস হজ অফিস মক্কায় কার্যক্রম পরিচালনা করে অবশিষ্ট সময় বাংলাদেশ হজ্ব অফিস, জেদ্দা থেকে পরিচালিত হয়।
২০০৮ সাল পর্যন্ত হজ্বব্রত পালন করা হতো পিলগ্রিমেজ পাসপোর্টের মাধ্যমে। কিন্তু সৌদি রাজকীয় সরকার ২০০৯ সাল থেকে আবশ্যকীয়ভাবে হজ্বযাত্রীদের জন্যও ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্টের মাধ্যমে হজ্ব ভিসা ইস্যুর বিধান প্রচলন করে। হজ্বযাত্রীর সংখ্যা পূর্বের(২০০৮ সালের) বছরের চেয়ে ২০০৯ সালে প্রায় দশ হাজার বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮ হাজার ২২০জনে পৌঁছে। এ অল্প সময়ের মধ্যে এত অধিক সংখ্যক ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট তৈরি ও সরবরাহ কষ্টসাধ্য হলেও যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তা সম্পন্ন করে। দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
রূপকল্প-২০২১ তথা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় হজ ব্যবস্থাপনাও সংযুক্ত হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি ইন্টারএকটিভ (ওহঃবৎধপঃরাব) ওয়েবসাইট প্রবর্তন করে-িি.িযধলল.মড়া.নফ সকল হজ্বযাত্রীর তথ্য ডেটাবেইজে সংরক্ষণ করে অনলাইনে ভিসা লজমেন্ট ও হজ্বের আনুষঙ্গিক তথ্যাবলী সৌদি দূতাবাস ও মোয়াছসাসাকে প্রেরণ করতে হয়। হজ্বযাত্রী ও এতদসংক্রান্ত সকল পক্ষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা হজ্ব ক্যাম্পসহ সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও মীনায় আইটি হেল্পডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে তথ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
ওআইসির নীতিমালা অনুসারে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনসংখ্যা অনুপাতে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে হজ্বযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারিত কোটা পূর্ণ করার কাছাকাছি চলে যায়। ২০১৩ সাল থেকে মক্কা শরীফে পবিত্র মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণসহ সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় সৌদি আরব সরকার সারা বিশ্ব থেকে ২০% কম হজ্বযাত্রীকে হজের সুযোগ প্রদান করে। ২০ শতাংশ হজযাত্রী কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কোটার বেশি পরিমাণ হজ্বযাত্রী হজের জন্য আবেদন করে এবং প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। এ বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বছরব্যাপী অনলাইন পদ্ধতিতে হজ্বের প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করে। ২০১৫ সালে প্রাথমিকভাবে এবং ২০১৬ সাল থেকে অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া পূর্ণাঙ্গভাবে চালু রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রায় সকল হজ্বযাত্রী বাংলাদেশ থেকে গমনকরে জেদ্দা হজ্ব টার্মিনালে অবতরণ করে থাকেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ্বযাত্রীদের সুবিধার্থে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেদ্দা হজ্ব টার্মিনালে প্লাজা ভাড়া করছে। জেদ্দা বিমানবন্দরে হজ্বযাত্রীদের সেবায় একজন মৌসুমি হজ্ব অফিসারের তত্ত্বাবধানে হজ্ব প্রশাসনিক দল, হজ্ব চিকিৎসা দল, আইটি টিম ও হজ্বকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হজ্ব অফিস হজ্বযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে থাকেন।
হজ্বযাত্রীদের ঢাকা বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে রিপোর্ট, হজ্বের প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। সে জন্য তাদেরকে কয়েকদিন আশকোনাস্থ হজ ক্যাম্পের ডরমিটরিতে অবস্থান করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০১০ সালে হজ্বযাত্রীদের সুবিধার্থে হজ্ব ক্যাম্পের ডরমিটরিতে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি লিফট স্থাপন করা হয়েছে। একই বছরে হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের বিমান/কাস্টমস/ইমিগ্রেশন এলাকায় সেন্ট্রাল এসি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর হজ্ব কার্যক্রম উন্নত, সহজ ও প্রতিযোগিতামূলক করা ও বিপুল সংখ্যক হজ্বযাত্রীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে হজ্বের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক এজেন্সিকে লাইসেন্স প্রদান করেছে। জাতীয় হজনীতি অনুসারে প্রতিটি এজেন্সি সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে সর্বনি¤œ ১৫০ জন হজ্বযাত্রীকে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। বেসরকারী হজ্ব এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ হাব(ঐঅঅই) এসব এজেন্সিগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। হজ্বযাত্রীদের প্রদেয় সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য মক্কা হজ্ব মিশনে হাব এর জন্য আলাদা অফিস ও হেল্পডেস্ক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হজ্ব ব্যবস্থাপনায় উন্নতির অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হজ্বযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থা করা। বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে অতীতের কোটারি ভিত্তিক ফায়দা ভোগের অনিয়মকে দূর করে বাড়ি ভাড়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। দূরবর্তী, পুরাতন ও পাহাড়ের উপর বাড়ি ভাড়া করার পরিবর্তে নিকটবর্তী স্থানে ও সমতল ভূমিতে বাড়ি ভাড়া করা হয়। এছাড়া অধিক সংখ্যক বাড়ির পরিবর্তে অল্প সংখ্যক উন্নতমানের নতুন বড়ো বাড়ি/হোটেল ভাড়া করে হাজীদের সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল হজ্বযাত্রীদের জন্য সঠিক সময়ে নিরাপদ পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ-সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক হজ্ব চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দুই জাতীয় এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হারে হজ্বযাত্রী পরিবহণ করে থাকে।
এ ব্যবস্থাপনার সাথে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা জড়িত। ২০০৯ সাল থেকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে নিবিড় সমন্বয় করে চলেছে। সুন্দর সমন্বয়ের কারণে হজ্বযাত্রী পরিবহণ, পাসপোর্ট ইস্যুকরণ, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক হজ্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলে গত নয় বছরে হজযাত্রীদের সংখ্যা পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে হজ্ব ব্যবস্থাপনায় সেবার মান বৃদ্ধি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসায় হজ্বযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় তিনগুণে উন্নীত হয়েছে।
হজ্ব ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনি ভিত্তি সুদৃঢ় করাসহ নিয়মিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাবতীয় অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দুর করতে এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে একটি আইনি কাঠামোর ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। হজ্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরো সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করার জন্য বর্তমান হজ্ব অফিসকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ হজ্ব অধিদফতরে উন্নীত করার জন্য কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের হজ্ব ব্যবস্থাপনায় যে গুণগত পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা সৌদি আরবের হজ্ব মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। সৌদি হজ্ব মন্ত্রণালয়ের অধীন দক্ষিণ এশীয় হাজী সেবা সংস্থা তথা মোয়াছসাসা অফিস ২০১০ ও ২০১১ সনে হজ্ব ব্যবস্থাপনায় উন্নতি সাধিত হওয়ায় বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় বলে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পত্র প্রেরণ করেছে।
সর্বোপরি, হজ্ব ব্যবস্থাপনার উন্নতি সাধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ্ব ব্যবস্থাপনার উন্নতিকল্পে গত নয় বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনবল বৃদ্ধি, আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্ক বৃদ্ধি, সৌদি সরকারের সাথে হজ্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পর্ক উন্নয়ন ও হাজীদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। ফলে গত নয় বছরে হজ্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। হজ্বযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হজ্ব ব্যবস্থাপনায় সেবার মান উন্নত হয়েছে। হজ্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ সফলতা মহাজোট সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের পথে এক বিশাল অর্জন। সরকারের হজ্ব ব্যবস্থাপনায় সফলতার এ ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে সকলের প্রত্যাশা। -পিআইডি প্রবন্ধ।