সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই—সফল নারী কর্মকর্তা ড. শাহিদা আকতার

  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার কৃতিসন্তান জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্তমান চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। বাংলাদেশ দূতাবাসে ২০১৬ সালের ৩রা অক্টোবর তিনি ইকনমিক মিনিস্টার হিসাবে যোগদানের পর থেকেই জাপানের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনেতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যার ফলে ২০১৬ সাল হতে প্রতি বছরই দু’দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ওডিএ ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সকল চুক্তির আওতায় বর্তমানে ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ ইত্যাদি মেগা প্রকল্পসমূহ জাইকার মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদানের পূর্বে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মাঠ প্রশাসনে যুগ্ম-সচিব এবং ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ফিল্ড এডমিনিস্টেশন’ প্রকল্পের ‘প্রকল্প পরিচালক’ হিসেবে দুই বছরের অধিক সময় দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি সরকারের মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ডিসি, এডিসি, ইউএনওদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে দক্ষতা অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(প্রশাসন) ক্যাডারে ১০ম ব্যাচে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে খুলনা কালেক্টরেটে যোগদান করেন। মাঠ পর্যায়ে ঢাকা ও খুলনা জেলায় ম্যাজিস্ট্রেসী ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় কর্মরত থাকাকালে জনপ্রতিনিধি, সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন প্রশাসনে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হিসাবে সরকারের ‘ভিসা নীতি’, রাজনৈতিক ও বহিরাগমন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দক্ষতা অর্জন করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হিসাবে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসাবে বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন দেশের ‘দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও উন্নয়ন’ সংক্রান্ত চুক্তি প্রণয়ন এবং চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকাকালে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে দক্ষতা অর্জন করেন।
তিনি বিশ্বব্যাংকের অধীনে DMTBF প্রকল্পের ‘ন্যাশনাল কনসালটেন্ট’ হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে অর্থ বিভাগ কর্তৃক Gender Budget Report এর Guidelines তৈরি এবং মন্ত্রণালয়সমূহের জেন্ডার রিপোর্ট তৈরিতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
ড. শাহিদা আকতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ হতে এম, এ ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১ম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে থাইল্যান্ডের Asian Institute of Technology(AIT) হতে Gender and Development Studies বিষয়ে এম.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস হতে একই বিষয়ে পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন।
চাকুরীকালে তিনি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টার ইউনিভার্সিটি ও সিংগাপুরের সিভিল সার্ভিস কলেজ থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। চাকুরী জীবনে তিনি রাশিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, শ্রীলংকাতে স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, দু’দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে তিনি ২০১২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে তুরস্ক ভ্রমণ করেন।
ড. শাহিদা আকতার রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার শেকাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মোঃ আব্দুর রউফ মিঞা সরকারী চাকুরীজীবী এবং মাতা মরহুমা বেগম সুফিয়া রউফ গৃহিনী ছিলেন। তাঁর স্বামী একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। তাদের মেয়ে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছেলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অধ্যয়নরত।
‘শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্যাটাগরিতে তিনি মহিলাও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৬ সালে ঢাকা বিভাগের ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা’ নির্বাচিত হন। তিনি প্রশাসনের সৎ, বিনয়ী ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।
আজ ৮ই মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সাথে টেলিফোনে একান্ত আলাপকালে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে চান।
তিনি মনে করেন নারীদের শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠাই হল জীবনে সফলতার মূল চাবিকাঠি। এজন্য নারীদেরকে সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনে অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!