শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জন্মদিনে সহকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন রাজবাড়ীর ডিডিএলজি ড.আজাদুর রহমান

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ৪ঠা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজ অফিসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোসহ কেক কেটে স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক(ডিডিএলজি) ড. একেএম আজাদুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি) মোঃ ছাদেকুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের সকল সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন।
ড. এ.কে.এম আজাদুর রহমান সরকারী আমলার পাশাপাশি একজন প্রগতিশীল লেখক, কবি ও লালন গবেষক হিসেবে সমধিক পরিচিত। তিনি নাটোর জেলা হতে বদলী হয়ে গত ৫ই অক্টোবর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার (উপ-সচিব) হিসেবে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি একই পদে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার অধীন গড়ফতেপুর গ্রামের কলেজপাড়ায় জনগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম আব্দুল লতিফ আখন্দ এবং মাতার নাম রোজিনা আখতার।
সরকারী চাকুরীর সাথে লেখালেখিও করেন তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর সাহিত্য পাতায় তিনি নিয়মিত গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার এবং কলামও লিখে থাকেন। গবেষণার কাজ করেছেন ফকির লালনের উপর। চাকরী সূত্রে কুষ্টিয়ায়ও ছিলেন তিনি। লালন একাডেমীর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গভীরভাবে পরিচিত হয়েছেন লালনের জীবনাদর্শের সাথে। গবেষণার সূত্র ধরেই বাউলদের সাথে তাঁর আলাপন। লালন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাধু-ফকিরদের সাথে আলাপ পরিচয়, কথোপকথন মানুষকে আকৃষ্ট করে। দোল পূর্ণিমার মচ্ছবে অবলোকন করেছেন সাধুসেবা, দীক্ষা গ্রহণের নিয়ম-কানুন আর ফকিরি বৃত্তান্ত। আধুনিক বৈজ্ঞানিক মন-মানসিকতার সরেজমিন বিচার বিশ্লেষণ লালন পরিচিতিকে এনে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। সে কারণেই আখড়াবাড়ীর বাউলরা স্বশরীরে উঠে আসেন তার লেখার উপজীব্য বিষয় হয়ে। এ পর্যন্ত তার অনেকগুলো বই বেরিয়েছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণার নিবন্ধ, ফিচার, কবিতা ও সম-সাময়িক বিষয়। তার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো ঃ লালন মত লালন পথ(২০১০, অন্বেষা প্রকাশনী), সাধুর বাজার, লালনের গান(অন্বেষা), বাংলার মেঠো পথে (২০১১ জয়তী), কলকাতা বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে গল্পসমগ্র অন্য কোনওখানে (২০১৪, সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী, কলকাতা), ব্যাগভর্তি রাতের করতালি (২০১৭-১৮)।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!