॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২০শে ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা জেলা প্রশাসক জিনাত আরা’র সভাপতিত্বে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স্, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল কাদের শেখ, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র শেখ মোঃ নিজাম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নুরমহল আশরাফী, রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম হুদা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোহাম্মদ ফেরদৌস, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী ফারুক আহম্মেদ, জেলা মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মাজিনুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবিএম রেজাউল হক, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় পূর্বের সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও সভা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান। এ সময় পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল আল মাসুদ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের উপ-পরিচালক ও জেলা কর্মকর্তাগণ, কমিটির সদস্যগণ, গণমাধ্যম কর্মীগণ ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক জিনাত আরা সভার শুরুতে ভাষার জন্য শাহাদৎ বরণকারী শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলার সার্বিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই সভাটি সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে পাংশা উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত সড়ক বিভাগের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বর্ধিত অংশের কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে রাজবাড়ী পৌরসভার শ্রীপুর থেকে জেলখানা পর্যন্ত যে চারলেনের সড়ক করা হবে তাতে যে সকল সরকারী-বেসরকারী অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো রেকর্ড দেখে সকল দিক বিবেচনা করে চারলেন রাস্তার প্রয়োজনে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগ জেলার যে একটি স্কুলে সোলার পাওয়ারের পাইলট প্রজেক্ট করবে সেটি একটির বেশী হলে ভালো হয় বলে মতপ্রকাশ করেন।
তিনি জেলার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আজকে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করাসহ বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও সভায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন দৃশ্যমান হওয়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব বকেয়া, বিদ্যুৎ বিভাগের নতুন প্রকল্প, দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কার্যক্রম, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয়, প্রাণি সম্পদ বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রমসহ জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় রাজবাড়ী জেলায় সদ্য যোগদানকারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম হুদা, জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরে সফুরা ফেরদৌস ও সরকারী গণ গ্রন্থাগারের লাইব্রেয়ীয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস তাদের পরিচয় দেন ও কর্মক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা প্রশাসক জিনাত আরা তাদের রাজবাড়ী জেলার কর্মক্ষেত্রে সাফল্য কামনা করেন।