॥মাহ্ফুজুর রহমান॥ রাজবাড়ী জেলায় এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৪৯.০৭%। জেলার ৫টি উপজেলার ৩২টি কলেজ থেকে ৮হাজার ৯৪৫জন পরীক্ষার্থী এ বছর এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪হাজার ৫৩৩জন উত্তীর্ণ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪৪০২জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪জন শিক্ষার্থী।
এছাড়াও জেলার ২১টি মাদ্রাসার ৫৯৭জন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৬৪জন। এরমধ্যে জেলার কালুখালী উপজেলার ২টি মাদ্রাসা থেকে ৪৯জন শিক্ষার্থী মধ্যে কেউ পাস করেনি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জেলায় ৫৯.০২% পাস করেছে।
রাজবাড়ী সরকারী কলেজে এ বছর ১হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৮১৪জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন। কলেজটিতে শতকরা ৬০.৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এরপর রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ১হাজার ২০৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭০২ জন পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২জন।
এছাড়া জেলার পাংশা উপজেলার পাংশা মহিলা কলেজ থেকে ২৫০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন এবং বালিয়াকান্দি কলেজ থেকে ৪৪০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৪৩ জন। এ কলেজেও জিপি-৫ পেয়েছে ১জন।
জেলায় বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর কলেজে এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় ২৬৯জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২১১জন। কলেজটিতে জিপিএ-৫ না থাকলেও পাশের হার ৭৮.৪৪ %।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ডা. আবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ থকে ৪৪৪জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ১০৭জন পাস করেছে। পাসের হার দাড়িয়েছে ২৪.১০%। বেলগাছী বিকল্প কলেজ থেকে ৬০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২জন পাস করে পাসের হার ৪৪%। অংকুর কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৮৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২১জন। পাসের হার দাড়িয়েছে ২৩.৮৬%। বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্জি দেলোয়ারা কলেজ থেকে ১০১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৪জন কৃতকার্য হয়ে পাসের হার ৩৩.৬৬%। বেলগাছী আলিমুজ্জামান কলেজের ৮৫জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৩জন। পাসের হার দাড়িয়েছে ৫০.৫৯%।
এছাড়াও খানাখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনস্টিটিউট(স্কুল এন্ড কলেজ) থেকে ৬জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হলেও পরীক্ষার্থী ছিলো ২৪জন। পাসের হার ২৫% দাড়িয়েছে। বরাট ভাকলা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৬জন পাস করে পাসের হার দাড়িয়েছে ৬৭.৯২%।
জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর কলেজ থেকে ১৫৮জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩২৮জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৮.১৭%। মীর মোশাররফ হোসেন কলেজের ২৬১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৬জন কৃতকার্য হয়ে পাসের হার দাড়িয়েছে ৫২.১১%। মৃগী শহীদ দিনাত কলেজের ৩৪৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৩জন কৃতকার্য হয়ে পাসের হার ৩৮.৬৬%। মুনছুর আলী কলেজে থেকে ২১৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১২৪জন। পাসের হার ৫৬.৬২%। লিয়াকত আলী স্মৃতি কলেজে থেকে ১৪১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৯জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়ে ৬৩.১২% পাসের হার দাড়িয়েছে।
অপরদিকে জেলার পাংশা উপজেলার পাংশা সরকারী কলেজে থেকে ১হাজার ০৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪১২ জন। সরকারী কলেজ হলেও কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। পাসের হার দাড়িয়েছে ৩৯.৬২%। পাংশা আইডিয়াল গার্লস কলেজের ৭৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য ৪৩জন। পাসের হার ৫৭.৩৩%। মাজবাড়ী জাহানারা বেগম কলেজের ১৪৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৯জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৩৩.১১%। বঙ্গবন্ধু কলেজে থেকে ৮৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪১জন। পাসের হার ৪৭.৬৭%।
কালুখালী কলেজ থেকে ৩৫৫জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩২জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৩৭.১৮%। কাচারীপাড়া হাইস্কুল এন্ড কলেজে থেকে ৩১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য ২৪জন। পাসের হার ৭৭.৪২%। মাছপাড়া কলেজ থেকে ২৪৮জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৩০জন। পাসের হার ৫২.৪২%।
এছাড়াও গোয়ালন্দ উপজেলার গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের ৫৩৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১৮জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৪০.৫২%। রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের ১৯৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৫জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার দাড়িয়েছে ৪২.৯৩%। মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুর জব্বার কলেজের ২২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৯জন। পাসের হার ৪০.৯১%।
আব্দুল হালিম মিয়া কলেজের ৪২জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য ১৩জন। পাসের হার ৩০.৯৫%। কলিমহর মহাবিদ্যালয় থেকে ১০২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৬৭.৬৫%। ড. কাজী মোতাহার হোসেন কলেজের ১৯২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৮জন কৃতকার্য হয়। পাসের হার ৫০.৬৮%। আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন কলেজের ১৪০জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৬৫জন। পাসের হার ৪৬.৪৩%। জহুরুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬জন। পাসের হার ৫২.২৭% দাড়িয়েছে।
এবারের এইচএসসি’র ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং পাশের হার হতাশাব্যঞ্জক। শতভাগ পাশ করেনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে।