॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ৪ঠা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজ অফিসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোসহ কেক কেটে স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক(ডিডিএলজি) ড. একেএম আজাদুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি) মোঃ ছাদেকুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের সকল সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন।
ড. এ.কে.এম আজাদুর রহমান সরকারী আমলার পাশাপাশি একজন প্রগতিশীল লেখক, কবি ও লালন গবেষক হিসেবে সমধিক পরিচিত। তিনি নাটোর জেলা হতে বদলী হয়ে গত ৫ই অক্টোবর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার (উপ-সচিব) হিসেবে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি একই পদে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার অধীন গড়ফতেপুর গ্রামের কলেজপাড়ায় জনগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম আব্দুল লতিফ আখন্দ এবং মাতার নাম রোজিনা আখতার।
সরকারী চাকুরীর সাথে লেখালেখিও করেন তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর সাহিত্য পাতায় তিনি নিয়মিত গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার এবং কলামও লিখে থাকেন। গবেষণার কাজ করেছেন ফকির লালনের উপর। চাকরী সূত্রে কুষ্টিয়ায়ও ছিলেন তিনি। লালন একাডেমীর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গভীরভাবে পরিচিত হয়েছেন লালনের জীবনাদর্শের সাথে। গবেষণার সূত্র ধরেই বাউলদের সাথে তাঁর আলাপন। লালন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাধু-ফকিরদের সাথে আলাপ পরিচয়, কথোপকথন মানুষকে আকৃষ্ট করে। দোল পূর্ণিমার মচ্ছবে অবলোকন করেছেন সাধুসেবা, দীক্ষা গ্রহণের নিয়ম-কানুন আর ফকিরি বৃত্তান্ত। আধুনিক বৈজ্ঞানিক মন-মানসিকতার সরেজমিন বিচার বিশ্লেষণ লালন পরিচিতিকে এনে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। সে কারণেই আখড়াবাড়ীর বাউলরা স্বশরীরে উঠে আসেন তার লেখার উপজীব্য বিষয় হয়ে। এ পর্যন্ত তার অনেকগুলো বই বেরিয়েছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণার নিবন্ধ, ফিচার, কবিতা ও সম-সাময়িক বিষয়। তার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো ঃ লালন মত লালন পথ(২০১০, অন্বেষা প্রকাশনী), সাধুর বাজার, লালনের গান(অন্বেষা), বাংলার মেঠো পথে (২০১১ জয়তী), কলকাতা বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে গল্পসমগ্র অন্য কোনওখানে (২০১৪, সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী, কলকাতা), ব্যাগভর্তি রাতের করতালি (২০১৭-১৮)।