বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীর রামকান্তপুরে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়ীতে অর্ধশত মৌচাক

  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০

॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কানাডা বাজার এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়ীতে বসেছে অর্ধ শতাধিক মৌচাক। গত ৪বছর ধরে রহস্যজনক ভাবে শীত মৌসুমে মৌমাছিরা ওই বাড়ীতে এসে মৌচাক তৈরী করে মধু আহরণ করছে।
পুরো বছর ধরেই কম বেশী মৌচাক থাকে ওই বাড়ীতে। অলৌকিকভাবে আসা এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রির টাকা নিজে ভোগ না করে গরীব মানুষের মধ্যে বন্টন করে থাকেন ওই প্রবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুইতলা বিশিষ্ট ওই বাড়ীর চারপাশ দিয়ে মৌমাছিরা চাক করে বসে আছে। বাথরুমের পাইপের সাথেও চাক তৈরী করে আছে মৌমাছিরা। বাড়ীতে এতো মৌচাক থাকা সত্বেও কাউকে কামড়ায় না এসব মৌমাছি।
বাড়ীর মালিক মোঃ সেকেন্দার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। ৪বছর আগে সৌদি আরবে থাকা অবস্থাতেই জানতে পারেন তার বাড়ীতে মৌমাছি এসে মৌচাক তৈরী করে থাকছে। সারা বছর ৪ থেকে ৫টি মৌচাক থাকে। কিন্তু শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে তার বাড়ীতে মৌচাক তৈরী করে। গত বছর এই শীত মৌসুমে ৩০টি মৌচাক ছিল। এবার আরো বেড়েছে। বর্তমানে ৪০টি মৌচাক রয়েছে। এর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রি করে তিনি যে টাকা পান তা দিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে কাপড় চোপড় এবং গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ দেন। তিনি নিজে একটি টাকাও ভোগ করেন না।
শরীফ বিশ^াস নামে এক মৌয়াল জানান, ওই বাড়ীর মৌচাক থেকে তিনি যে মধু সংগ্রহ করেন তার অর্ধেকটা বাড়ীর মালিককে দেন। গত বছর তিনি ওই বাড়ীর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি করেছিলেন। এবার মুধ বিক্রি করে এর চেয়েও বেশি টাকা পাওয়া যাবে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, অলৌকিকভাবে গত ৪বছর ধরে প্রবাসী সেকেন্দারের বাড়ীতে মৌমাছিরা এসে মৌচাক তৈরী করছে। কোথা থেকে যে এই মৌমাছি আসে তা কেউ বলতে পারেন না। তবে এই মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রির টাকা নিজে ভোগ না করে গরীবদের মধ্যে বন্টন করে দেন প্রবাসী সেকেন্দার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!