সরকারের সকল শক্তি ও সামর্থ্য নিয়োগ করার পরেও প্রশ্ন ফাঁস রোধ সম্ভব নয় যদি না দেশের সচেতন নাগরিক প্রশ্ন ফাঁসের মত ভয়াবহ ব্যাধি থেকে জাতিকে মুক্ত করতে পারে। আর এর জন্য সরকারের গোপন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষিত তরুণ সমাজ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষকমহল ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রনে প্রশ্ন ফাঁস রোধে গড়ে উঠছে গোপন কমিটি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গোপনে চালাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান।
প্রশ্ন ফাঁসের সাথে স্কুল কলেজ ও কোচিং সেন্টারের জড়িত থাকার প্রমান মিলেছে বহুবার। তাই ছদ্মবেশে সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানসমূহে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রশাসন। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে কোনো নম্বরে সন্দেহজনক লেনদেন হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো তৎপরতা চালানো হচ্ছে নাকি তা অতি গুরুত্বের সাথে নজরদারি করছে সরকারের সাইবার ক্রাইম অপারেশন বিভাগ।
পাড়া মহল্লায় সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে গড়ে উঠছে প্রশ্ন ফাঁস রোধে বিশেষ কমিটি। কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের কোনো আলামত দেখতে পেলে এই কমিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে প্রশ্ন ফাঁস রোধে সাহায্য করবে।
এছাড়া পরীক্ষার প্রশ্ন সেট কয়টি হবে তা থাকছে একদম গোপন। প্রত্যেক সেটের জন্য আলাদা প্যাকেট থাকবে এবং সিলগালার পরিবর্তে সিকিউরিটি টেপ ব্যবহার করা হবে।
কথায় আছে, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হয়। আর তাই গোপন প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকারও গ্রহণ করেছে নানামুখী গোপন কার্যক্রম।