বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী জেলায় ডিজিটাল উদ্ভাবন কার্যক্রম সম্প্রসারণে জেলা প্রশাসনের সাফল্যসমূহ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

## রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ## জেলা প্রশাসন সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে নির্ভরশীল ও পরীক্ষিত প্রতিষ্ঠান। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে, সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে, উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে জনসেবা সহজীকরণ, উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন, আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসন নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে জেলা প্রশাসন। কার্যত জেলা প্রশাসন সারা বছর জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জেলার সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে জেলা পর্যায়ের সকল দপ্তরের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সার্থক সমন্বয়কের কাজ করে আসছে। জনপ্রশাসনকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক ও বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ তথ্য বাতায়ন, নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ডিজিটাল রেকর্ডরুম, ফ্রন্ট ডেস্ক/জেলা ই-সেবা কেন্দ্র, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেলসহ ডিজিটাল সেবা সমৃদ্ধ বিভিন্ন শাখা। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা ম্যাজিস্ট্রেসীর রয়েছে ই-মোবাইল কোর্ট। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক জনগণের দুঃখ-কষ্ট ও বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য সপ্তাহের প্রতি বুধবার গণশুনানীর মাধ্যমে জনগণের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করে থাকেন।
সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং আধুনিক জনমুখী নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও তিন বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজ করে যাচ্ছে। নাগরিক সেবা সহজীকরণ ও সুশাসন নিশ্চিতকল্পে সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন, নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার চর্চাকে ইতিবাচকভাবে সমুন্নত করতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম সহজতর করতে অফিসে ওয়াইফাই সংস্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম যেমন ঃ গ্রুপ এসএমএস পদ্ধতি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও রাজস্ব আদালতের মামলার তথ্যাদি এবং এনজিও বিষয়ক কার্যক্রম অবহিত করতে পৃথক ওয়েবসাইট তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে জনসেবায় উদ্ভাবন ও ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঃ
(১) জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
(২) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৩টি বড় ডিসপ্লে স্ক্রিন, সাউন্ড সিস্টেম ও উন্নত ক্যাবল সমৃদ্ধ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর স্থাপনের ফলে বিভিন্ন সভা/সেমিনারে উপস্থিত সকল সদস্যের সম্মুখেই বড় পর্দায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন।
(৩) ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে জেলা তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য সমূহ নিয়মিতভাবে হালনাগাদকরণ। এই তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিষয়ক এবং জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও পলিসি সম্পর্কে জনগণকে তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্রাদি জেলা তথ্য বাতায়নে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য জেলা তথ্য বাতায়নে সংযোজন করার ফলে জনগণসহ বিভিন্ন দপ্তরের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি নির্দেশনাসমূহ প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
(৪) ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ই-সেবা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার একটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। এ মেলা তিনটি কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হচ্ছে। তাহলো ঃ (ক) তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজে, দ্রুততম সময়ে এবং স্বল্প খরচে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা প্রদান করার সেতুবন্ধন রচনা; (খ) মেলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জনকল্যাণমুখী ই-সেবার ক্ষেত্র তৈরির একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের অভিজ্ঞতা দ্বারা সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং (গ) ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা জনগণের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছে যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব ও এর দ্বারা জনগণ উপকৃত হচ্ছে।
(৫) ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্যে অর্থ উপার্জন তথা দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির লক্ষ্যে লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলার আয়োজন।
(৬) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে পেপারলেস অফিসে উন্নীত করতে ই-নথি ব্যবস্থাপনা চালু।
(৭) দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়মিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
(৮) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইসিটি শাখা স্থাপন।
(৯) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ও সদাচরণ নিশ্চিতকরণ।
(১০) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সভার নোটিশ মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রেরণ। ফলে সরকারি কাগজের অপচয়রোধসহ নোটিশ জারীতে সময়ক্ষেপণ এবং বাড়তি লোকবলের প্রয়োজ হচ্ছে না। এতে যথাসময়ে সভা অনুষ্ঠান করে সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হচ্ছে।
(১১) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধিকাংশ চিঠিপত্র ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ।
(১২) ‘জনসেবায় প্রশাসন’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন প্রতিনিয়তই সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন। এ সকল কার্যক্রম নিয়মিত জনগণের সামনে সচিত্র উপস্থাপনের জন্য রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের একটি নিজস্ব ফেসবুক পেজ(DC Rajbari) চালু রয়েছে।
(১৩) সরকারের বিভিন্ন জনহিতৈষী ও সেবামূলক কার্যক্রম জনসাধারণ সঠিকভাবে অবহিতকরণ ও জনগণের দুর্ভোগ লাঘব এবং বিভিন্ন সেবা গ্রহণ সহজীকরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নীচতলায় ফ্রন্ট ডেস্ক/জেলা ই-সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ফ্রন্ট ডেস্কে জনসাধারণের ও বিভিন্ন দপ্তর হতে প্রাপ্ত অভিযোগ ও চিঠিপত্র গ্রহণ করা হয় যা সরাসরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে জেলা প্রশাসক দেখতে পারেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
(১৪) জ্ঞান অর্জন এবং দাপ্তরিক কার্যাদি সহজে নির্বাহের জন্য লাইব্রেরী একটি অত্যাবশ্যকীয় মাধ্যম-এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কালেক্টরেট লাইব্রেরীকে একটি আধুনিক লাইব্রেরীতে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
(১৫) ভূমি ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুম ও নকল শাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে লক্ষ্যে দ্রুত নকল ও খতিয়ান প্রাপ্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে রেকর্ডরুম ডিজিটালাইজেশন করার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। বর্তমানে জনসাধারণ ঘরে বসেই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারছেন।
(১৬) সামাজিক অপরাধ দমনে মোবাইল কোর্টের অবদান অনস্বীকার্য। রাজবাড়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেসীর মোবাইল কোর্ট আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টের নথি ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেখা হচ্ছে। ফলে ই-মোবাইল কোর্টের নথি সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করতে পারছেন যা মোবাইল কোর্ট ব্যবস্থনায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এনে দিয়েছে।
(১৭) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের জন্য সিটিজেন কর্ণার স্থাপন।
(১৮) জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে এবং এর সফলতা ধরে রাখার জন্য এ পর্যন্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ।
(১৯) জেলা প্রশাসকের অধিক্ষেত্রাধীন উপজেলা ভূমি অফিসসমূহে ই-মিউটেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলা ভূমি অফিসে শতভাগ ই-মিউটেশন কার্যক্রম চালুকরণ।
(২০) রাজবাড়ী জেলার আওতাধীন দপ্তরসমূহে কর্মরত আইডিয়া প্রদানকারী সেরা কর্মকর্তা/কর্মচারীর মধ্যে প্রণোদনা প্রদান।
(২১) জেলার সকল ভূমি অফিসকে ডিজিটাল সুবিধা সমৃদ্ধ জনবান্ধব ভূমি অফিসে পরিণত করা হয়েছে।
(২২) জেলা প্রশাসনের ইনোভেশন টিমের উদ্ভাবনী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন রাজবাড়ী সদর উপজেলার সকল টিউবওয়েলের অবস্থান কার্যক্রম এবং ব্যবহারকারী তথ্য অফিসে বসেই জ্ঞাত হওয়া এবং অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবহƒত এবং অব্যবহƒত টিউবয়েল চিহ্নিতকরণ, ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও মনিটরিং করা হচ্ছে।
(২৩) সকল দপ্তরের ইনোভেশন টিমসমূহকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে ইনোভেশন টিমসমূহের সভা করা হচ্ছে।
(২৪) রাজবাড়ী জেলায় ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড সাব-স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। শীঘ্রই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
(২৪) জেলার সকল অফিসে সিটিজেন চার্টার স্থাপন করা হয়েছে।
(২৫) দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নৌযানসমূহের চলাচল সংক্রান্ত তথ্যাদি যাত্রীসাধারণকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী পরিকল্পনায় ‘জেলা প্রশাসন হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা হয়েছে।
(২৬) রাজবাড়ী জেলায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত জেলা ও উপজেলা বাল্য বিবাহ নিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠানসহ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও জনমত গঠনের মধ্য দিয়ে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে।
(২৭) জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী পরিকল্পনায় সকল উপজেলার ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল (স্কুল ফিডিং) কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
(২৮) রাজবাড়ী জেলার সকল ভিক্ষুকের তালিকা করে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় এনে পুনর্বাসনের উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এ পুনর্বাসনের কাজ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। অচিরেই রাজবাড়ী জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণ করা সম্ভব হবে। সার্ভিস ইনোভেশনের আওতায় সরকারি সেবার মান উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন এবং জনসেবা নিশ্চিত করতে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনসেবাধর্মী উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজবাড়ী জেলায় ডিজিটাল সেবা ও উদ্ভাবন এগিয়ে চলেছে। রাজবাড়ী জেলা হয়ে উঠছে এক সম্ভাবনাময় ডিজিটাল জেলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!