॥স্টাফ রিপোর্টার॥ মীর মাহফুজা খাতুন মলি ২০০৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়িকা নির্বাচিত হওয়ার থেকে অদ্যাবধি সেই পদে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দলীয় রাজনীতির বাইরেও তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সহ-সভাপতি, কাজী হেদায়েত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি, গোদার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সদস্য, রাজবাড়ী মহিলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি, কারা পরিদর্শক (বেসরকারী) এবং বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মীর মাহফুজা খাতুন মলি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর ছোট ভাই কাজী ওয়াজ্জেহাত আলী ফরিদের স্ত্রী। তার শ্বশুর মরহুম কাজী হেদায়েত হোসেন ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তৎকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব করেন এবং ১৯৭০ সালে এমপিএ নির্বাচিত হন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শরণার্থী শিবির এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ভারতে কল্যাণী ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার মাত্র ৩ দিন পর দুষ্কৃতিকারীরা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে। মীর মাহফুজা খাতুন মলি’র ভাশুর আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী ১৯৯২ সাল থেকে অদ্যাবধি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯২ সালে রাজবাড়ী-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুর পর তিনি উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি পুনরায় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ও ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মীর মাহফুজা খাতুন মলি কাজী পরিবারের গৃহবধু হিসেবে ১৯৯২ সাল থেকে অধ্যাবধি মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। ২০০৪ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়িকা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুব মহিলা লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
মীর মাহফুজা খাতুন মলি’র জন্ম ১৯৬৪ সালের ১২ই আগস্ট। তার পিতার নাম মরহুম মীর সামছুদ্দীন আহমেদ ও মাতার নাম মীর আমেনা সামছুদ্দীন। তিনি ১৯৭৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, ১৯৮১ সালে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে বিএসসি(সম্মান) ও ১৯৮৮ সালে এমএসসি এবং ১৯৮৮ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি.এড ডিগ্রী অর্জন করেন। তার চাচা ডাঃ মীর রমিজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং ২মামা ডাঃ আব্দুল খালেক ও আব্দুল মালেক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এক প্রশ্নের জবাবে মীর মাহফুজা খাতুন মলি বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে রাজবাড়ীতে তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।