॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে নিজের কন্যা (১১)কে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার আপন বাবা রহমান কাজী (৩৫) ও তার সহযোগী সুমন (২৬)কে গতকাল ৯ই নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই দিন ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে নির্যাতিতা শিশুটি।
এরআগে গত ৮ই নভেম্বর রাজবাড়ী থানায় অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ভিকটিমের নানী আয়শা বেগম। রাজবাড়ী থানার মামলা নং-২৪, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)। মামলায় অভিযুক্ত কন্যা শিশুর বাবা রামকান্তপুর পশ্চিম পাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন কাজীর ছেলে রহমান কাজী ও রামকান্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান উল্লাহর ছেলে সুমন মিয়াকে আসামী করা হয়।
জানাযায়, প্রায় আড়াই বছর আগে রহমান কাজীর স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তার মেয়ে একই গ্রামে নানা বাড়ীতে থেকে লেখাপড়া করতো। সেখান থেকে তার মাদকাসক্ত বাবা প্রায়ই তাকে বাড়ীতে নিয়ে মারধর করে জোর করে ধর্ষণ করতো। কিন্তু সে ভয়ে ঘটনাটি কখনো কাউকে বলার সাহস পাইনি। এভাবে সে তাকে প্রায় দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। শুধু তাই নয় সম্প্রতি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে সুমনকে দিয়েও তাকে ধর্ষণ করায়। এরপর ২/৩ দিন পর পর তারা শিশুটিকে ধর্ষণ করে আসছিলো।
মামলার বাদী আয়শা বেগম জানান, নাতনীর কাছ থেকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা শোনার পর তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।
রাজবাড়ী সদর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোঃ কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, আপন বাবা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৮ই নভেম্বর থানায় মামলা করেন ভিকটিমের নানী আয়েশা বেগম। মামলায় ভিকটিমের আপন বাবা রহমান কাজী ও সুমনকে আসামী করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ওই দিনই অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও গতকাল ৯ই নভেম্বর দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর আদালতে জবানবন্দী দেয় শিশুটি। পরে তার নানী জিম্মায় মুক্তি দেয় আদালত।