॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি গতকাল সোমবার ফেরী পাটুরিয়া ঘাটের কাছে চ্যানেলে আটকা পড়া। সাড়ে তিন ঘন্টা পর ফেরীটি উদ্ধার করা হয়। পদ্মা ও যমুনা নদীতে দ্রুত পানি কমতে থাকায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি ফেরী স্বল্পতা থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় গাড়ির লম্বা লাইন তৈরী হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে রো-রো ফেরী শাহ জালাল পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ৯টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের কাছে চ্যানেলে আটকা পড়ে। এ সময় পাটুরিয়া ঘাটের কাছে ড্রেজিং চলছিল। নিজ থেকে চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে আইটি জাহাজের সাহায্য চাওয়া হয়। পরে সংস্থার নিজস্ব আইটি জাহাজের সাহায্যে দুপুর পৌনে একটার দিকে ফেরী উদ্ধার হয়। ফেরী ঘাটে ভেড়ার পর যানবাহন ও যাত্রীরা ঘাটে নামেন। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় অনেকে দুর্ভোগের শিকার হন।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(মেরিন) আব্দুস সাত্তার জানান, পানির গভীরতা কম থাকায় ফেরী চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে ফেরী শাহ জালাল খননকৃত চ্যানেলে আটকা পড়ে। পরে আইটি জাহাজের সাহায্যে ফেরিটিকে সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি সময় পর মুক্ত করা হয়।
খননযন্ত্রের কারণে ফেরী থেকে গাড়ি লোড-আনলোডে অনেক সময়ক্ষেপন হওয়াসহ ফেরী স্বল্পতার কারণেও গাড়ি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ঢাকামুখি গাড়ির লম্বা লাইন তৈরী হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি বাসকে ৪ থেকে ৫ঘন্টা এবং পন্যবাহি গাড়িকে ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনুরুপভাবে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরী হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করতে বর্তমানে ১৫টি চালু থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে ‘কুমারী’ ফেরী বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে। ১৪টির মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ইঞ্জিন দুর্বল থাকায় রাতে চলতে পারেনা। বাকি ১৩ ফেরী দিয়ে গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দৌলতদিয়ার ২নম্বর ঘাটের একটি পকেট বন্ধ রয়েছে। এসব কারণে উভয় ঘাটে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরী হয়েছে।