রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি সভা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১৭ই আগস্ট সকাল ১০টায় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের যানজট পরিস্থিতি নিরসনে সুষ্ঠু ও নিরাপদ নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি নিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুর রহমান, র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার(এনএসআই) উপ-পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাসান হাবিব, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল হোসেন গাজী, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুরাদ হাসান মৃধা, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান এবং ডিবি’র ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারী বিভাগের কর্মকর্তাগণ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ, বাস, লঞ্চ, ট্রাক, ইঞ্জিন চালিত অটোবাইক, থ্রি-হুইলার প্রভৃতির মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী তার বক্তব্যে বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার হওয়ায় ঈদসহ যে কোন ধর্মীয় উৎসবে হাজার হাজার মানুষের বাড়ী ফেরার অন্যতম প্রধান একটি রুট। সে কারণে এই ঘাটের গুরুত্ব অনেক বেশী। গত ঈদে সরকারী ছুটি বেশী থাকায় এবং পদ্মা নদীর পানি কম থাকাসহ তেমন স্রোত না থাকার কারণে নির্বিঘেœ হাজার হাজার যাত্রী সহজেই পারাপার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। নদীতে অধিক পানি ও স্রোত থাকাসহ ভাঙ্গন ও সরকারী ছুটি কম থাকার কারণে পারাপার খুব কঠিন হবে। তারপরও সঠিকভাবে ঘাট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জেলা পুলিশ, র‌্যাব, বিআইডব্লিটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক বিভাগসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গত বারের মত এবারও যাত্রীদের কোন রকমের ভোগান্তি ছাড়া পারাপার করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী। নৌ-পরিবহনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, এবারের ঈদে ছোট-বড় ১৯টি ফেরীর মাধ্যমে দৌলতদিয়ার ৪টি ঘাট দিয়ে সার্বক্ষণিকভাবে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে। যাত্রী পারাপারে ৩৩টি লঞ্চের মধ্যে ২৩টি লঞ্চ সার্বক্ষণিক ও ১০টি লঞ্চ বিকেল ৪টার পর অন্য রুট থেকে এসে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যাত্রী পারাপার করবে। প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১জন যাত্রীও বেশী নেওয়া যাবে না এবং নির্ধারিত ভাড়ার বেশী আদায় করা যাবে না। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যে সকল পরিবহন যাত্রী পরিবহন করবে তারা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারীভাবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা যাত্রী হয়রানীর কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও র‌্যাবকে অত্যন্ত তৎপর থেকে যাত্রী হয়রানী যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজবাড়ীর মহাসড়কগুলোর যে সকল অংশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়ক বিভাগকে ঈদের আগেই সেই সকল অংশ মেরামত করে যান চলাচলের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। মহাসড়কে যাতে ঈদের সময় নছিমন, করিমন, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক না চলে এবং মহাসড়কের পাশে যাতে গরুর হাট বসতে না পারে পুলিশ ও র‌্যাবকে সেদিকে বিশেষ নজরদারী রাখতে হবে। ফেরীতে জুয়া খেলা, মলম পার্টি, ঘাট এলাকায় ছিনতাই, যাত্রী হয়রানী ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারসহ সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে হ্যাচারী পর্যন্ত পর্যাপ্ত লাইট ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। এই জন্য গোয়ালন্দের ইউএনও এবং দৌলতদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গতবারের মত এবারও আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে ঘাটে উপস্থিত থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটর করবো। এছাড়া ইমার্জেন্সী সার্ভিস যেমন-স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের টিমকে ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত রাখবেন। যাতে যে কোন পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করা যায়। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের ৩দিন আগে ও পরে কোরবানীর পশুর ট্রাক ছাড়া অন্য সব ট্রাক ও লরি বন্ধ থাকবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বয়ে সুন্দরভাবে ঘাট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আমরা ঘরে ফেরা হাজার হাজার মানুষকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নির্বিঘেœ ও নিরাপদে পার করতে পারব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!