॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামের মান্নান মোল্লার ছেলে রহিম মোল্লা হত্যা মামলার মূল আসামী সাদ্দাম মিয়াকে পুলিশ ঘটনার ৩মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জানাযায়, গত বছরের ৫ই নভেম্বর বিকেলে পাংশা শহরের কলেজপাড়া এলাকায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রহিম মোল্লাকে প্রথমে পাংশা পরে ফরিদপুর ও সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ৩দিনের মাথায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিম মোল্লার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নিহত রহিম মোল্লার স্ত্রী ময়না বেগম বাদী হয়ে নারায়নপুর গ্রামের মৃত শহিদ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম মিয়া একই গ্রামের জলিল মন্ডলের ছেলে পলাশ মন্ডল ও রাশেদ মন্ডল এবং কুড়াপাড়া গ্রামের নুরু মুন্সীর ছেলে শরীফ মুন্সীকে আসামী করে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪, তাং-৮/১১/২০১৬, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
পাংশা থানার এস.আই মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্লা পাংশা পৌরসভার বারেক ডোমের মোড় এলাকা থেকে এজাহারনামীয় ৪নং আসামী শরীফ মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে ৯ই নভেম্বর রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করেন। কিছু দিন জেল হাজতে আটক থাকার পর বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শরীফ মুন্সী।
বর্তমানে রহিম হত্যা মামলাটি রাজবাড়ী সিআইডি তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে সিআইডির এস.আই মোঃ সেলিম মাতুব্বর-এর সাথে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার আসামীরা এলাকায় নেই। তারা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
অপরদিকে ঘটনার ৩মাসেও মামলার মূল আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজনের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
দরিদ্র পরিবারের যুবক রহিম মোল্লা ঘটনার ৮মাস আগে কাতার থেকে বাড়ী ফেরেন। ছোট ভাই রহমান মোল্লার চাকুরীর বিষয়ে মামলার ৪নং আসামীর উপস্থিতিতে ১, ২ ও ৩নং আসামী ১০হাজার টাকা নেয়। চাকুরী না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আসামীদের সাথে রহিম মোল্লার বিরোধ বাধে।