সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

কোকের সাথে চেতনাশক খাইয়ে নারী শ্রমিককে ধর্ষণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্য্যনগরে গত ৭ই ফেব্র“য়ারী দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কোকের সাথে চেতনাশক ওষুধ খাইয়ে এক নারী শ্রমিক (২০)কে ধর্ষণ করা হয়েছে। অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই নারী শ্রমিক জানান, তার বাড়ী সূর্য্যনগর গ্রামে হলেও দারিদ্রতার কারনে সে ফরিদপুর জেলার মধুখালী জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করতো। সেখানে কাজ করা অবস্থায় মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার মুক্তার খান(৩৫) নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। সে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। সে কারনে তার সাথে যোগাযোগ ছিল। সম্প্রতি সে(নারী শ্রমিক) সূর্য্যনগর এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে। ওই বাড়ীর অন্য রুমে রায়হান নামে এক কোর্চিং টিচার থাকতো। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তার খানসহ আরো এক ব্যক্তি প্রাইভেটকারযোগে তার বাসায় আসে। তারা হোটেল থেকে মাংস খিচুরী ও কোক কিনে সঙ্গে আনেন। এগুলো রায়হানসহ তারা এক সাথে বসে খান। এর কিছুক্ষণ পর রায়হান তার রুমে চলে গেলে সে(নারী শ্রমিক) অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় মুক্তার খান ও তার সহযোগি তাকে ধর্ষণ করে কোন এক সময় চলে যায়। সকালে ঘরের দরজা খোলা ও তাকে এবং অন্য রুমে রায়হানকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় মাসুদ নামে এক ব্যক্তি তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রায়হান জানান, বহিরাগত দুইজন ওই নারী শ্রমিকের পরিচিত ছিল। তারা বাইরে থেকে খিচুরী মাংস ও কোক কিনে নিয়ে আসেন। মাংস খিুচরী তারা ৪জন এক সঙ্গে খাওয়ার পর তাকে কোক খেতে দেয়া হয়। এরপরই তার পেট ব্যথা শুরু হলে তিনি রুমে চলে আসেন এবং এর কিছুক্ষণ পরেই অচেতন হয়ে যান। এর পরে কি হয়েছে তা তিনি কিছুই যানেন না।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার মিয়া জানান, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে জানতে পেরেছি ওই মেয়েটা ভাল না। টাকার বিনিময়ে সে অসামাজিক কার্যকলাপ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!