মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীকে আগ্রহীকরণ

  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

॥ আশরাফুল হক॥ “জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০” ও “জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২”-এর আলোকে শিক্ষাবিদগণের মতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত শিক্ষায় অগ্রসরতাই হলো উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বিগত দশক পর্যন্ত যে কোনো কাজের জন্য কিছু ছক বাঁধা নিয়ম কৌশল ছিল। এখন প্রযুক্তির প্রভাবে অফিস আদালতের এমনকি দৈনন্দিন জীবনযাপন সংক্রান্ত কাজ কর্মের নিয়ম নীতিও নাটকীয়ভাবে বদলে যাচ্ছে। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভরতা।
বিশ্বজুড়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞান প্রযুক্তি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের কর্তব্য এ বিষয়ে সজাগ হওয়া। দেশ ও জাতি গঠনে বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আর তা হল শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান পাঠে আগ্রহী ও উদ্বুদ্ধ করা এবং বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির কাজ এগিয়ে নেওয়া। এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের শিশুর সকল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি। একথা সত্য আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহের কমতি নেই কিন্তু প্রযুক্তি সৃষ্টি, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে তাদের তেমন ভূমিকা নেই। আমরা বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আমদানি করছি মাত্র। বাড়ছে পরনির্ভরশীলতা। এটি একটি দেশের উন্নয়নের সূচক হতে পারে না। আমাদের প্রচেষ্টা হতে হবে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে নতুন প্রযুক্তি সৃষ্টি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিজ্ঞানের জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করা, বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় জীবনদক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সক্ষম হওয়া, বিজ্ঞানের বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল ধারা উপলব্ধির মাধ্যমে জীবনব্যাপী শিক্ষায় আগ্রহী হওয়া। বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক , কুসংস্কারমুক্ত ও যৌক্তিক চিন্তার অধিকারী হওয়া ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান পাঠে উদ্বুদ্ধ করার উপায় হলো ঃ শিক্ষকের আদর্শ ভূমিকা পালন করা, বাস্তব জীবনে বিজ্ঞানের অবদানগুলো অবহিত করা, বিজ্ঞানের পাঠকে আনন্দদায়ক ও দৈনন্দিন জীবনের সাথে যুক্ত করা, শিখন-খেশানো প্রক্রিয়ায় উপকরণ ব্যবহার ও হাতে-কলমে কাজের সুযোগ দেওয়া, বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান সংস্কৃতির(বিজ্ঞান মেলা, দেওয়াল পত্রিকা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ইত্যাদি) চর্চা করা, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি অভিভাবকদের ইতিবাচক মানোভাব তৈরী করা। উপরের বিষয়গুলো সঠিকভাবে উপলব্ধি এবং প্রয়োগ করতে পারলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীতে সকল দেশে বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। লেখক ঃ সিনিয়র শিক্ষক, বিএসসিবিএড, এমএড,এমএ(বাংলা), কালুখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কালুখালী, রাজবাড়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!