॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতালয়ে গত ৩১শে আগস্ট রাতে এক যৌনকর্মী সাথী আক্তার(২২) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
গোয়ালন্দ থানা পুলিশ রাতেই যৌনকর্মী সাথী আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয়রা এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা পরিস্কার করে বলতে পারছেনা।
দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত শুক্রবার অনুমান দিবাগত রাত নয়টার দিকে সাথীকে তার ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে পাহারাদারদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয় অনেকে নিহত সাথীর নাক ও কান দিয়ে রক্ত ঝড়তে দেখেন। প্রাথমিকভাবে অনেকে ধারণা করছেন, তাকে শ^াসরোধ করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পতিতাপল্লীর ওই বাড়ীর মালিক শহিদুল ইসলাম দাবী করেন, যৌনপল্লীর আরেক বাড়ীওয়ালা মোমিন শেখের সাথে সাথীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু সমস্যার কারণে সাথীকে প্রায় পাঁচ মাস আগে তার বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠে। গত শুক্রবার সারাদিন সাথীর ঘরে অবস্থান করছিল মোমিন। দিন শেষে রাত অনুমান আটটার দিকে মোমিন ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা সাথীকে ঘরে ঝুলতে দেখে দ্রুত তাকে খবর দেয়। তিনি বাড়ীতে এসে এমন দৃশ্য দেখে পতিতাপল্লীর পাহারাদারদের খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মোমিন শেখ জানান, এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। এমনকি যৌনপল্লীতে তার কোন বাড়িও নেই। একটি মহল তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবী করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার এস.আই শহর আলী জানান, যৌনকর্মীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী কালে তার নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। পরে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।