॥আবুল হোসেন॥ পদ্মা নদীতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ও ফেরী স্বল্পতার কারণে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরী পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় সময় লাগছে প্রায় দ্বিগুন। এসব কারণে উভয় ঘাটে গতকাল শুক্রবার কয়েক’শ গাড়ি আটকা পড়ে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শত শত মানুষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সুত্র জানায়, গত ঈদুল ফিতরের সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে ছোট-বড় মোট ২০টি ফেরী চলাচল করতো। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন পর যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেওয়ায় সংস্কারের জন্য এই রুট থেকে নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয় রোরো ফেরি ‘ভাষা শহীদ বরকত’। এর কয়েকদিন পরই ডক ইয়ার্ডে পাঠানো হয় ‘কুসুম কলি’ এবং সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা’ নামক আরেকটি ফেরীকে পুর্নবাসনের জন্য ডক ইয়ার্ডে পাঠানো হয়। এছাড়া রোরো ফেরী শাহ জালালকে গত বৃহস্পতিবার মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে পাঠানো হয়। ২০টি ফেরীর মধ্যে চারটি অন্যত্র থাকায় এই নৌপথে ফেরী সংকট দেখা দেয়। এমত অবস্থায় বাকি ১৬টি ফেরীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ২/৩টি করে ফেরি যান্ত্রিক ক্রটিতে বিকল হয়ে পড়ছে।
সুত্র মতে, গত ১৯শে জুলাই সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে রোরো ফেরী গোলাম মাওলা, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন এবং শাহ আলী নামক তিনটি বড় ফেরী বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ক্রটিতে বিকল হয়ে পড়ে। এসব ফেরী রাতে পর্যায়ক্রমে নৌপথে বের হলেও গতকাল শুক্রবার সকালে আরেক রোরো ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান যান্ত্রিক ক্রটিতে বিকল হয়ে পড়ে। এছাড়া হামিদুর রহমানের একটি ইঞ্জিন দুর্বল থাকায় সাধারণত ঝুকি এড়াতে রাতে চলাচল বন্ধ রাখে। বর্তমানে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমীন বলেন, দফায় দফায় ফেরী বিকল হয়ে পড়ায় গাড়ি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ফেরী চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আগে যেখানে লাগতো ৩০ থেকে ৩৫মিনিট। বর্তমানে সেখানে লাগছে প্রায় ৫০ মিনিট।