॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি শামিম রেজা (২৮)কে মারপিটের অভিযোগে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদসহ ৩জনের বিরুদ্ধে গতকাল ১৯শে জুলাই দুপুর ১টা ২৫মিনিটে থানায় মামলা হয়েছে।
পাংশা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাংবাদিক শামিম রেজা বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পাংশা থানার মামলা নং-২১, তাং-১৯/৭/২০১৮, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোর্ড। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলোঃ পাংশা উপজেলার ঢেঁকিপাড়া গ্রামের নিজামুদ্দিনের ছেলে নাজমুল হোসেন(৩২), চরলক্ষীপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে উজ্জল মন্ডল (৩৪)সহ অজ্ঞাত ১০/১২জন। গত ১৭ই জুলাই বিকেলে পাংশা শহরে অন্তর হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক শামিম রেজা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী বাদশা ও সাংগঠনিক সৈকত শতদল গত ১৭ই জুলাই বিকেলে সাড়ে ৫টায় পাংশা শহরের অন্তর হোটেলে খাবার খেতে যায়। এ সময় হোটেলের সামনে থেকে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ ওদুদ হাসানসহ উল্লেখিতরা সাংবাদিক শামিম রেজার বুকের ওপর পিস্তল ঠেকিয়ে বলে শালা বড় সাংবাদিক হয়েছিস। কার বিরুদ্ধে নিউজ করিস। এই বলে শার্টের কলার ধরে তাকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা চলে যায়। এরপর আহত অবস্থায় সাংবাদিক শামিম রেজাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শামিম রেজা বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। থানার এস.আই মোঃ সেকেন্দার আলী মামলাটি তদন্ত করছেন। এ খবর লেখা পর্যন্ত মামলার কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার বিষয় অস্বীকার করে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, তার এবং তার ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অসত্য সংবাদ পরিবেশন ও সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করায় রাসেল কবীর, মাসুদ রানা বাদশা, শামীম রেজা’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে ডিবি দুইটি মামলা তদন্ত করছে। এসব মামলার পর উল্লেখিতরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল এবং কথিত ঘটনা সাজিয়ে তারা আমাদের হয়রানীর জন্য থানায় মামলা করেছে।