॥এম.এইচ আক্কাছ॥ দৌলতদিয়া ঘাটের গত কয়েক দিনের ভয়াবহ যানজট কমে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে মহাসড়কে বাসের সিরিয়াল না থাকলেও ট্রাকের লম্বা লাইন রয়েছে।
ঈদুল আযহার শেষে দৌলতদিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে রাজধানী ঢাকামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ অত্যাধিক বেড়ে যায়। এরমধ্যে হঠাৎ মাওয়া ঘাটে যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকার ফলে দুই ঘাটের চাপ একাকার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি বেড়ে যায়। গত শনিবার সকাল থেকে মাওয়া ঘাটে যানবাহন পারাপার পুনরায় চালু এবং কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীর চাপ কমে আসায় তা আবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
গতকাল ১০ই সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শনকালে দেখা যায়, আগের তুলনায় ঘাটের যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। পরিবহনের বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকারসহ ছোট-বড় যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরীতে উঠতে পারছে। বাসের কোন সিরিয়াল নাই। তবে মহাসড়কে রয়েছে সাড়ে ৩শতাধিক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভর্তি ট্রাকের লম্বা লাইন। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত ট্রাকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
লঞ্চ ঘাটে দেখা যায়, যাত্রীরা দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছার লক্ষ্যে লঞ্চেই বেশী যাত্রী পার হচ্ছে। যদিও নদী পথে লঞ্চ অপেক্ষা ফেরীতে পারাপার হওয়া বেশী নিরাপদ। তবুও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় পদ্মা নদী পার হতে লঞ্চেই এখন যাত্রীরা বেশী ভীড় করছে।
বিআইডবিব্লউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়ায় যানজট নেই। তবে কিছু বাজেমাল ভর্তি ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে। আশা করি, সন্ধ্যা নাগাদ ট্রাকগুলো নদী পার হয়ে যাবে। বর্তমানে ১৯টি ছোট-বড় ফেরী চলাচল করছে। মাওয়া ঘাট চালু ও যানবাহনের চাপ কম থাকায় সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।