॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুড়ি ঈদগাঁহ ময়দানের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারপিটের শিকার হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ তার ভাই-ভাগনেরা।
এ ঘটনায় আকরাম হোসেনের পক্ষ থেকে রাজবাড়ী সদর থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ১৫ই জুন সকালে চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুড়ি ঈদগা মাঠের কাজ করা নিয়ে আকরাম হোসেন ও তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেনের সাথে স্থানীয় মৃত অখিল উদ্দিনের ছেলে এজাজুল হকের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর ওই বিকেলে আকরাম ও আনোয়ার হোসেন বাড়াইজুড়ি মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে তারা দুইজন বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতারীভাবে মারপিট করে। এ সময় আকরামের ভাগিনা এনামুল হক এনাম ও স্থানীয় আজিবর সরদার তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও মারপিট করে। এ ঘটনার পর আহত অবস্থায় তাদের ৪জনকে সদর হাসপাতালে আনা হলে এনামুল ও আজিবরকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো ঃ বাড়াইজুড়ি গ্রামের এজাজুল হক, মকবুল হোসেন, শামছু সরদার, ফজলু সরদার, বাবলু সরদার, ছালাম মন্ডল ও আজিবর সরদার।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আকরাম হোসেনের নিজ এলাকার বাড়াইজুড়ি ঈদগাঁহ ময়দানের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাজবাড়ী জেলা পরিষদ থেকে ১লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তার মধ্য থেকে ৫০হাজার টাকা আকরাম হোসেন উত্তোলন করেন এবং হাজারখানেক ইট দিয়ে সামান্য একটু জায়গায় ইট বিছিয়ে তার উপরে সিমেন্ট-বালুর প্রলেপ দিয়ে পাকা করে। বরাদ্দ পাওয়া অর্থের তুলনায় এই উন্নয়ন কাজ আশানুরূপ না হওয়ায় এলাকার কিছু লোক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ একজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বরাদ্দকৃত অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা দেয়া স্থগিত করা হয়। এই নিয়ে বিরোধ চলাকালে ঈদের আগের দিন ১৫ই জুন দুপুরে আকরাম হোসেন ওই ঈদগাঁহ সংলগ্ন মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ার পর মসজিদের বারান্দায় অভিযোগকারীদের মধ্যে মকবুল নামের একজনের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আকরাম মকবুলকে আঘাত করলে মকবুল সঙ্গে সঙ্গে আকরামের মুখে ৪/৫টি ঘুষি দেয়।
এ ঘটনার পর আকরাম তার ভাই মিন্টু ও ভাগনেকে নিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে মারার জন্য মকবুলের বাড়ীতে গেলে ওই বাড়ীর মহিলারাসহ সকলে মিলে তাদের ৩জনকে বেদম মারপিট করে। তাদের মধ্যে আকরামের তার ভাই মিন্টু ও ভাগনেকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও আকরামও চিকিৎসা নেয়।