বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

কাইযেন পদ্ধতির চর্চা করলে সরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল হবে ————— জেলা প্রশাসক জিনাত আরা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(বিপিএটিসি) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা’র আয়োজনে গতকাল ২০শে ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সামগ্রিক মান ব্যবস্থাপনার(টিকিউএম) মাধ্যমে জনসেবার মান উন্নয়ন বিষয়ক জেলা কাইযেন কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
বিপিএটিসি’র পরিচালক(যুগ্ম-সচিব) আবদুল বাকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিনাত আরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিপিএটিসির যুগ্ম-সাচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ড. সৈয়দা নওশীন পর্ণিনী। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আশরাফ হোসেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, জেলার বিভিন্ন সরকারী বিভাগের উপ-পরিচালকগণ, জেলা কর্মকর্তাগণ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিনসহ অন্যান্য সাংবাদিকগণ কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।
কনভেনশনে গত ২৪শে মে’র কার্মশালায় অংশগ্রহণকারী জেলার বিভিন্ন সরকারী বিভাগের মধ্যে ২২টি বিভাগ তাদের অফিসে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাইযেন পদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। দপ্তর গুলোর মধ্যে রয়েছে ঃ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, গোয়ালন্দ উপজেলা ভূমি অফিস, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পাংশা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সদর উপজেলা খাদ্য বিভাগ, গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য বিভাগ, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ, বালিয়াকান্দি উপজেলা হিসাব রক্ষকের কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, সদর উপজেলা সমাজসেবা বিভাগ, পাংশা উপজেলা যুব উন্নয়ন বিভাগ, পাংশা উপজেরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, সদর উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ, পাংশা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, জেলা আনসার ও ভিডিপি এবং জেলা নির্বাচন অফিস তাদের পরিচালিত কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন।
কনভেনশনের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জিনাত আরা তার বক্তব্যে বলেন, কয়েক মাস আগে গত মে মাসে রাজবাড়ীতে সামগ্রিক মান ব্যবস্থাপনার(টিকিউএম) মাধ্যমে জনসেবার মানোন্নœয়নের উপর জেলায় কাইযেন কর্মশালার সূচনা হয়েছিল। আজকে এই কনভেনশনের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন সরকারী বিভাগে কতটুকু কিভাবে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে সেটাই বিভিন্ন প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যে কোন প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির চর্চা করলে তাদের কার্যক্রম আরো বেশী সুন্দর ও পরিপাটি হবে। যা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে হয়ে থাকে। আমরা যেহেতু ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবো সেহেতু আমাদের অবশ্যই কাইজেনা পদ্ধতি, সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল, ইনোভেশনসহ বিভিন্ন নতুন নতুন যুগোপযোগী পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমে ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমগ্রিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে। সেই আলোকে পাংশার মডেল ভূমি অফিসের মতো রাজবাড়ীর সকল ভূমি অফিসকে আরো বেশী জনবান্ধব অফিস হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং সকলকে নিজের অফিসে চলমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাইযেন পদ্ধতিতে পরিচালিত প্রকল্পগুলোকে চলমান রাখার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বিপিএটিসি’র পরিচালক(যুগ্ম-সচিব) আবদুল বাকী বলেন, অন্য জেলার মতো রাজবাড়ী জেলাতে গত ২৪শে মে’র কাইযেন পদ্ধতির উপর সরকারী বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ও তাদের বিভাগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে এ পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য আহবান জানানো হয়েছিল। আজ অনেক দিন পর এই পদ্ধতির মাধ্যমে কতটুকু কাজ পরিচালিত হচ্ছে সেটা মূল্যায়নের সময় এসেছে। বিভিন্ন বিভাগ আজকের প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। রাজবাড়ী জেলায় এই পর্যন্ত আমার দেখা প্রথম জেলা যারা ২২টি বিভাগের এই কাইযেন পদ্ধতির সবচেয়ে বেশী তথ্য উপস্থাপন করেছে। আমি বিশ্বাস করি, বিজয়ের এই ৪৫বছর পরে হলেও তারা সরকারের এই কর্যক্রমকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। শুধু সেটাই নয়, এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্প সময়ে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও তিনি কাইযেন পদ্ধতির আবিষ্কারক আমেরিকা ও এই পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী উন্নত দেশ জাপানসহ বিভিন্ন দেশের এই পদ্ধতির প্রয়োগের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে একে আরো বিস্তার ঘটানোর আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক জিনাত আরা’র উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয় এবং এরপর সিডিউল অনুযায়ী কনভেনশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ২৪শে মে সামগ্রিক মান ব্যবস্থাপনার(টিকিউএম) মাধ্যমে জনসেবার মানোন্নয়ন বিষয়ক জেলা পর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!