॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ৯ই আগস্ট দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কালুখালী উপজেলার চরকুলটিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ জয়নুল আবেদীন।
লিখিত বক্তব্যে চরকুলটিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ই আগস্ট দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ১৮নং পাতায় “এমপি জিল্লুলের রোষানল-এবার জগন্নাথের ছাত্রকে মার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হওয়ায় আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদে আমার ছেলে আবিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার উদ্ধৃতি দিয়ে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা মোঃ জিল্লুল হাকিমকে জড়িয়ে যে সমস্ত কথা ছাপা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের সঙ্গে আমার এ ধরনের কোন কথা হয় নাই। আমার ছেলে আবিদ গত বছর এইচএসসি পাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক সম্মান ১ম বর্ষে ভর্তি হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর তার সাথে ঢাকা কেন্দ্রীক কিছু ছেলেদের ওঠাবসা শুরু হয়। আমি তাকে বারবার সতর্ক করার পরও সে তাদের সাথে মিশতে থাকে। গত ৬ই আগস্ট রবিবার দুপুরের দিকে আমি শুনতে পাই আমার ছেলেকে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ আটক করেছে। থানায় খোঁজ নিতে গেলে আমি জানতে পারি, সে কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তির অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য তাদের প্ররোচনায় পড়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগ ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত ৩রা আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৫৪মিনিটে একটি খারাপ মন্তব্য পোস্ট করেছিল। সেই মন্তব্যটি আমি পড়ে দেখেছি এবং পড়ে নিজেও বিব্রত হয়েছি। আমি জেনেছি যে, ফেসবুকের ওই লেখাটির জন্য ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষণœ হওয়ায় ছাত্রলীগের ছেলেরা তার বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় একটি অভিযোগ করে। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করে। আমি বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা আমার নিকট প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে।
মোঃ জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, আমি অতীতে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করলেও বর্তমানে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। আমার ছেলে ছাত্রলীগের মত এমন একটি সংগঠনকে নিয়ে এবং পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দির উন্নয়নের রূপকার জননেতা মোঃ জিল্লুল হাকিম,এমপিকে নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারে তা আমি ভাবতেও পারিনি। আমি আমার ছেলে আবিদের পিতা হিসেবে মন্তব্যটি পড়ে লজ্জিত হয়েছি। তাই আমি বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীতে আমার ছেলে এমন ধরনের মন্তব্য কখনো করবে না বলে আমাকে কথা দিয়েছে এবং সে অনুতপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে মার্জনা চেয়েছে।
দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে আমার ছেলে আবিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল আমি সেটাকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করছি এবং এ বিষয়ে উক্ত পত্রিকায় ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি।