॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নতুন বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্র নীতি : উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত হয়েছে।
নিমফিয়া পাবলিকেশন প্রকাশিত এ বইয়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উপস্থিতি, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও তার প্রেক্ষাপটসহ পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি বিষয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে ছয় বছর প্রত্যক্ষ কাজের অভিজ্ঞতার নানা দিকও ড. মোমেনের লেখনীতে উঠে এসেছে ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ বিষয়ক বিশদ আলোচনা বইটিতে স্থান পেয়েছে। এ নীতির ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ; প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এ বইয়ে প্রাধান্য পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ভাবনা, পদক্ষেপ ও মানবিকতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা ও দূরদর্শীতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এছাড়া উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘে উত্থাপিত বাংলাদেশের অনেকগুলো প্রস্তাব, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং সকল জাতিসত্তার অব্যাহত উন্নয়ন ও মুক্তি।
ড. মোমেনের মতে, দেশের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হল- মানব ও পানিসম্পদ। এ সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে না পারলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এ দু’টি সম্পদ যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আমাদের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ’ুটি প্যাকেজ পলিসি চালু করেছে। এগুলো হচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি ও জনকূটনীতি। ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ বইটিতে বিষয়গুলো যথাযথভাবে ফুটে উঠেছে।
কিশোরকালে ‘উষশী’ পত্রিকা সম্পাদনা দিয়ে লেখালেখীর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও বেশি। ড. মোমেনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ : শেখ হাসিনা’, ‘শেখ হাসিনা : বিমুগ্ধ বিস্ময়’, ‘বাংলাদেশ : রোড টু ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ : উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা : বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা : বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন : ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি অব এমপাওয়ারিং পিপল’, ‘বাংলাদেশ : ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’।