বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

কোভিড টিকার সার্বজনীন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সকলের টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান এবং জনগণের জন্য কল্যাণে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ঘোষণা দেয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত ১৭ই জুন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে ড. মোমেন এই আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে সরকারী সফরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছেন।
সম্প্রতি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মহাসচিব তার প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন যেখানে তিনি বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা সম্পর্কে বলেছিলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে মহাসচিব মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির স্থাপন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতা বিশ্ব ভুলবে না।
জাতিসংঘের কার্যক্রমের সকল ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় নেতৃত্বের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
রোহিঙ্গা বিষয়ে অব্যাহতভাবে মনোযোগ দেওয়ার জন্য গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মহাসচিবের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন।
ড. মোমেন আরও বলেন, এটা হতাশাজনক যে অনেক প্রভাবশালী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করেছে। অথচ তারা প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে ভাসানচরের সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সেখানে জাতিসংঘের কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের পথে থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব বিশেষ করে এসডিজির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উদ্বেগ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উত্তরণের জন্য অব্যাহত সহায়তারও আহ্বান জানান। মোমেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিশেষ করে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ে বর্ধিত প্রতিনিধিত্বের জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগ লাভের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভিনন্দন জানান এবং মহাসচিব হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
পরে মোমেন শান্তি স্থাপন ও রাজনৈতিক বিষয়ক বিভাগের জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে তারা মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা উভয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!