॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ ভারতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যেই চিকিৎসকদের ‘মিউকোরমাইসিস’ বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সংক্রমণটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
দুই মাস আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই বিরল প্রাণঘাতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণটি সনাক্ত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ রোগটিকে ভারতের ‘এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট’ এর আওতায় ‘মহামারি’ ঘোষণা করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট’ এর আওতায় ‘মিউকোরমাইসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের তালিকা চেয়ে সকল রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে এবং বিষয়টি ইউনিয়ন হেলথ মিনিস্ট্রি’কে অবহিত করেছে।
মন্ত্রণালয় সকল সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজকে ‘মিউকোরমাইসিস’ বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমনের সব ধারনের স্ক্রিনিং ও পরীক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। মিউকর নামে একটি ছত্রাক এই রোগের কারণ। ভেজা ও স্যাঁতস্যাতে স্থানে ছাত্রকটি পাওয়া যায়।
যদিও রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা রাজ্য দুটি গত বুধবার সর্বপ্রথম ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস” সংক্রমণকে ‘মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় ২হাজার। ভারতের মধ্যে রাজ্যটিতেই এই রোগের সবচেয়ে বেশি বিস্তার ঘটেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারী লভ আগারওয়াল চিঠিতে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মিউকোরমাইসিস’ নামে একটি ছত্রাক সংক্রমণ নতুন সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। অনেক রাজ্যে কোভিড-১৯ রোগীরা, বিশেষত যারা স্টেরোয়েড থেরাপি নিচ্ছে এবং যাদের সুগারের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত- তারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, এই সংক্রমণটি কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী রোগের দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্য কর্মীদের মতে, এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে- মাথাব্যাথা, জ্বর, চোখের নিচে ব্যথা ও চোখে দেখতে না পাওয়া।
এই রোগের চিকিৎসার ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোগীদের চিকিৎসায় ছত্রাকনাশক ওষুধ হিসেবে অ্যাম্ফোরেরিসিন বি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।