॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্ম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এ মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সকল ভারতীয়র কাছেও একজন বীর। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার বিজয়ী এক নেতা হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) সকল ভারতীয়র কাছেও একজন বীর। ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফর আমার জন্য অনেক সম্মানের হবে।’
আগামী ২৬শে ও ২৭শে মার্চ আসন্ন বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে মোদি তার টুইটার বার্তায় লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার বিজয়ী এ মহান নেতার প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মানিত অতিথি হিসেবে ২৬শে মার্চ বংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ২৬শে ও ২৭শে মার্চ বংলাদেশ সফর করবেন। করোনা ভাইরাস মহামারী শুরুর পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এটাই হবে প্রথম বিদেশ সফর।
গত সন্ধ্যায় এখানে সরকারী এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মোদির রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের কর্মসূচিতে যোগদানের অংশ হিসেবে মোদি বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ প্রাঙ্গনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন। মোদির গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় দু’টি হিন্দু মন্দির সফর করার কথা রয়েছে।
পৃথক টুইটার বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করা বজায় রাখবে।
জয়শঙ্কর বলেন, এই ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে তাঁর এই জন্ম শতবার্ষিকী পালন করতে পেরে ভারত গর্বিত।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।