বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল শনিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ৬৬ হাজার ১৮৯ বাড়ি হস্তান্তর করবেন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে আবাসন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকারী কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি বিতরণ উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, সরকার মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্বে এই প্রথম বারের মতো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবাগুলোর মধ্যে হস্তান্তর করার লক্ষ্যে ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি তৈরী করেছে।
ড. কায়কাউস আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে(পিএমও) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি বাড়ি বিতরণ উদ্বোধন করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের(পিএমও) সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং আশ্রয়ন-২ এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহাবুব হোসেন প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন এবং সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস ও আশরাফ সিদ্দিকী বিটু উপস্থিত ছিলেন।
ড. কায়কাউস বলেন, সরকার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য ১,১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি বাড়ি নির্মাণ করেছে। আগামী মাসে আরও প্রায় এক লাখ বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধীন আশ্রয়ন প্রকল্প মুজিব বর্ষ উদযাপনকালে ২১টি জেলায় ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্পের অধীনে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণ করে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করছে।
মুখ্য সচিব আরো বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প ২০২০ সালে ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা তৈরি করে। তাদের মধ্যে ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৬১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এবং ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবারের ১-১০ শতাংশ ভূমি রয়েছে। তবে তাদের বসবাসের বাড়ি নেই।
তিনি আরো জানান, আশ্রায়ন প্রকল্প ১৯৯৭ সালে থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩,২০,০৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য ব্যারাক নির্মাণ করছে।
ড. কায়কাউস আরো বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্প ৪,৮৪০.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে (জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত) ২ লাখ ৫০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১,৯২,২২৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪৮ হাজার ৫০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭ টি পরিবারের প্রত্যেকের ১ থেকে ১০ শতাংশ ভূমি রয়েছে। কিন্তু তাদের বাড়ি করার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উদ্বাস্তু কক্সবাজারের খুরুশকুলে ৬ শত পরিবারের জন্য ২০টি ৫তলা ভবন নির্মান করেছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ডিটেইল্ড প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) এর মাধ্যমে আরো ১১৯টি বহুতল ভবন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে।
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর সদস্যদেরকে আয় সংস্থানমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা অর্জন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ(এসডিজি) অজর্নের জন্য দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে প্রকল্প কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!