বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু সেতুর উজানে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি পৃথক ডাবল লেনের ডুয়েল মিটার গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আজকে সত্যি আমি খুবই আনন্দিত। আজ থেকে যমুনা নদীর ওপর পৃথক রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এই সেতু নির্মাণের ফলে আমি মনেকরি দেশের আভ্যন্তরীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নতো হবেই আন্তর্জাতিকভাবেও আমরা লাভবান হতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকলের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ‘আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে দেশের মানুষের ভাগ্যের আরো উন্নয়ন করতে হবে। তাহলেই জাতির পিতার কাক্সিক্ষত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ২৯শে নভেম্বর সকালে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে আয়োজিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
গণভবন প্রান্তে এবং মূল অনুষ্ঠানস্থলে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী জাপানের জাইকার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, যমুনা নদীর উপরে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু রেল সেতু। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেল সেতুটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাইকা। এর নির্মাণ কাজ ২০২৫ সাল নগাদ শেষ হবার কথা রয়েছে। এই সেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে একইসঙ্গে দুটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। উন্মুক্ত হবে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের। ফলে সময় সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সদিচ্ছায় ১৯৯৮ সালে প্রমত্তা যমুনা নদীর ওপর চালু হওয়া বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে রেল সেতু চালুর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে ব্রডগেজ ও মিটারগেজের চারটি ট্রেন দৈনিক আটবার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের পরিমান বাড়তে থাকায় সেতুটির ওপর চাপ বাড়তে থাকে এবং পৃথক একটি রেলসেতুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কাজেই বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর থেকে চাপ কমিয়ে এখানে চলাচলকারি ট্রেনের গতিসীমাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ডেডিকেডেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু।
২০১৪ সালের ২৫ থেকে ২৮শে মে টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে সাক্ষাতকালে জাপানকে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
পরে, ২০১৪ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ঢাকা সফরে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি উত্থাপন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!