॥টোকিও প্রতিনিধি॥ ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রত্যেক মানুষের প্রথম রাষ্ট্রীয় ও আইনগত স্বীকৃতি এবং অধিকার আদায়ে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ দলিল। নবজাতকের নাম ও জাতীয়তা নিশ্চিতকরণে জন্ম নিবন্ধন অত্যাবশ্যক। ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচিতি ও অধিকার নিশ্চিতকরণে জন্ম নিবন্ধন যেমন জরুরী তেমনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই দেশে ও প্রবাসে সবাইকে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে।
জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ গত ৬ই অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিও কর্তৃক আয়োজিত ‘জন্ম নিবন্ধন দিবস-২০২০’ পালন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এ বছরই প্রথম বাংলাদেশের বিদেশস্থ মিশনসমূহে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড.শাহিদা আকতার। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা- বোনের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসাবে ২০১০ সাল থেকে সারাদেশে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে; একইভাবে টোকিওসহ বিদেশস্থ সকল মিশনসমূহেও জনবান্ধব এই সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান করোনা সময়ে টোকিও দূতাবাস অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনসহ অন্যান্য কনসুলার সেবা প্রদান করছে। রাষ্ট্রদূত জাপান প্রবাসী সকল বাংলাদেশী নাগরিককে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।