॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ ঔষধ কোম্পানী অস্ট্রাজেনকার সাথে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে যে ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ করছে তার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। একজন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে টিকার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার পর গত মঙ্গলবার অস্ট্রাজেনকা এ ঘোষণা দেয়। তবে কোম্পানীটি বলছে, এটি রুটিন কাজেরই অংশ।
বিশ্বে যতোগুলো ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে তার মধ্যে অক্সফোর্ডই সবচেয়ে এগিয়ে এবং তাদের ভ্যাকসিন নিয়েই সকলের আগ্রহ।
অস্ট্রাজেনকার একজন মুখপাত্র বলেন, একটি নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যালোচনার জন্যে আমরা স্বেচ্ছায় এই পরীক্ষা সাময়িক ভাবে বন্ধ করেছি। একে রুটিন কাজের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পরীক্ষায় অপ্রত্যাশিত কিছু অসুস্থতার কারণে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে এর কারণ খুঁজে বের করা এবং আরো সংহতভাবে পরীক্ষা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরো বলেন, ব্যাপক পরিসরে চালানো এই পরীক্ষায় কিছু অসুস্থতার কারণ ঘটতেই পারে। তবে তা অবশ্যই স্বতন্ত্রভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। তবে কোথায় কে অসুস্থ হয়েছে এবং তার অসুস্থতার ধরণই বা কি সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালে তা স্থগিতের বিষয়টি ব্যতিক্রম কোন ঘটনা নয়। কোন স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে তখন পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যে আবারো পরীক্ষা শুরু করা হয়।
বিশ্বে ব্যাপক পরিসরে যে নয়টি কোম্পানী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এর পরীক্ষা চালাচ্ছে অস্ট্রাজেনকা তার একটি। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার এ ক’টি টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী টিকার তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ অনুমোদনের জন্যে আবেদন করবে না। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অস্ট্রাজেনকা ছাড়াও জনসন এন্ড জনসন, বায়োএনটেক, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, ফাইজার, মের্ক, মর্ডানা, সানোফি ও নোভাভ্যাক্স রয়েছে।