॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পাবনা-৪ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
গতকাল ৩০শে আগস্ট বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারী বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২রা এপিল পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যাওয়ায় এই সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য এবং দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অবঃ) ফারুক খান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, নুরুজ্জামান ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শূন্য হওয়াটি সংসদীয় আসনে গত ১৮ থেকে ২৩শে আগস্ট দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। আজকের বৈঠকে এ ৫টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা ছিল। দলটির সূত্র জানায়, সব আসন নিয়ে আলোচনা হলেও শুধু পাবনা-৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের পরবর্তী বৈঠকে বাকি চারটি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচন হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩রা সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ভোট হবে ২৬শে সেপ্টেম্বর। পাবনার এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
গত ২রা এপ্রিল সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি।