॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট(ই-জিপি) পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এর মোট সংখ্যা ৪ লাখের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
গত ২২শে জুলাই ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা ৪ লাখ ১১০টিতে পৌঁছায়। সেই সাথে ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্যমান দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন,পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের(আইএমইডি) অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট(সিপিটিইউ) ই-জিপি চালু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২রা জুন ই-জিপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সিপিটিইউ জানায়, মাত্র ৮বছরের মধ্যে ই-জিপিতে সরকারী ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের এই ব্যাপক অংশগ্রহণ সরকারী সেবা ডিজিটাইজেশনে বড় ধরনের একটি সাফল্য। ওই বছরই ৪টি বড় ক্রয়কারী সংস্থাসমূহ পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু করে। ক্রয়কারী সংস্থাগুলো হচ্ছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। পরীক্ষামূলক অনলাইন টেন্ডারিংয়ের সফলতা অর্জনের পর ২০১২ সাল থেকে সরকারী বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউ’র উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে।
গত ২২শে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬৫টি সরকারী ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে ১ হাজার ৩৪৩টি ই-জিপির আওতায় এসেছে। আর ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৯৫। ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতা উভয় পক্ষই তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা ই-জিপির সুফল পাচ্ছে। এর মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থের ব্যাপক সাশ্রয় হচ্ছে। টেন্ডার নিয়ে আর কোন ঝামেলাও নেই।
উল্লেখ্য, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৮০ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারী ক্রয়ে ব্যয় হয়।