॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীতে মারামারি মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আলিম উদ্দিন(৫০) করোনা পজেটিভ জানতে পেরে কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছে সদর থানার ৫জন পুলিশ সদস্য। গতকাল ১১ই জুন রাজবাড়ী সদর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গত ৮ই জুন করোনা পজেটিভ হন। এরপর উপজেলা ভূমি অফিসের নাইট গার্ড মোঃ আলিম উদ্দিনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হলে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আলিম উদ্দিনের বাড়ী রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউপির ইন্দ্রনারায়নপুর গ্রামে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের কোভিড-১৯ ইউনিটের ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসিফ মাহমুদ গতকাল ১১ই জুন দুপুরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে জানায় যে, ইন্দ্রনারায়নপুর গ্রামের আলিম উদ্দিন করোনা পজেটিভ। এ প্রেক্ষিতে দুপুর আড়াইটার দিকে সদর হাসপাতালের কোভিড-১৯ ইউনিটের রেসপন্স টিমের সদস্যরা আলিম উদ্দিনকে উদ্ধারের জন্য যোগযোগ করেন। এ সময় তারা জানতে পারেন তাকে কিছুক্ষণ আগে রাজবাড়ী থানার পুলিশ একটি মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে। তখন স্বাস্থ্য বিভাগের টিম থানায় গিয়ে যোগযোগ করলে পুলিশ করোনা আক্রান্ত আসামী আলিম উদ্দিনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাকে হাসপাতালের কোভিড-১৯ ইউনিটে এনে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, প্রতিবেশীর সাথে জমিজমা নিয়ে মারামারির ঘটনায় আলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। এ প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক দেড় ১টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৪জন কনস্টেবল ইন্দ্রনারায়নপুর গ্রামে নিজ বাড়ী থেকে আলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায় যে আলিম উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত। তখন আলিম উদ্দিনকে সদর হাসপাতালের কোভিড-১৯ ইউনিটে এনে ভর্তির জন্য হস্তান্তর করা হয়।
ওসি স্বপন কুমার মজুমদার আরো বলেন, আসামী আলিম উদ্দিন করোনা পজেটিভ হওয়ার তাকে হাসপাতালের কোভিড-১৯ ইউনিটে ভর্তির বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে। এছাড়াও তাকে গ্রেফতারের সময় টিমে থাকা থানার ১জন সাব-ইন্সপেক্টর ও ৪জন কনস্টেবলকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তারা টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। করোনা পরীক্ষার পর তারা থানার ডিউটিতে যুক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য থানার পুলিশ সদস্যদের পৃথক ২টি স্থানে রাখা হয়েছে।