॥হেলাল মাহমুদ॥ দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হওয়া যাত্রীদের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে তারা সীমিত আকারে চলা ফেরীগুলোতে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে। আবার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদেরকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল ৯ই মে দুপুরে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরীতে উঠার জন্য ৫নং ফেরী ঘাটের পন্টুনের প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাটে ফেরী ভিড়ানোর সাথে সাথে তারা সামাজিক দূরত্বের কোন তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে ফেরীতে উঠে গেল।
এ সময় কুষ্টিয়া থেকে আসা আবেদ হোসেন নামে একজন গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, আমার কারখানা খোলায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাতে করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এখন আবার নিরূপায় হয়ে গাদাগাদি করে ফেরীতে উঠলাম। আলমগীর মাহমুদ নামে আরেকজন যাত্রী বলেন, জীবিকার তাগিদে জীবন বাজী রেখে অনেক ভোগান্তি সহ্য করে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। গণপরিবহন থাকলে এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সত্ত্বেও অর্থনীতির কথা চিন্তা করে দেশ এখন অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে যাচ্ছে। এ জন্য ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু এই নৌরুটের ফেরীগুলোর মধ্যে সীমিত আকাকে ছোট-বড় ৬টি ফেরী চলাচল করায় অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে।