বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে মাঝারী ধরনের যান চলাচল উপযোগী হতে ২দিন লাগবে

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭

রাঙামাটি-বান্দরবনে ভূমিধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়াও তারা ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গত পরিবারের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ জরুরী ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
গতকাল ১৮ই জুন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর(আইএসপিআর) জানায়, সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১হাজার ৫০০ জনকে খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও তারা প্রায় ৭হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেছে।
সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের পক্ষ থেকে ১টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। আগামীকাল থেকে উক্ত প্লান্টের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সকল শেল্টার সেন্টারে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিম প্রায় ১হাজার জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে। দুর্গত এলাকায় জ্বালানী সংকট দেখা দেওয়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্র্ায় ৮হাজার লিটার তেল বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটিতে মোট ১৯টি শেল্টার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০০টি পরিবারের ২হাজার ১২৪জন পাহাড়ী-বাঙালী আশ্রয় নিয়েছে।
সেনাবাহিনী ৭টি শেল্টার সেন্টারের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো ঃ বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উন্মুক্ত বিশ¡বিদ্যালয়, যুব উন্নয়ন কমপ্লে¬ক্স, মনোঘর ভাবনা কেন্দ্র, রাঙামাটি সরকারী কলেজ ও গোধুলী আমানবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ৭টি শেল্টার সেন্টারে ১হাজার ২২৬জন দুর্গত পাহাড়ী-বাঙালী আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদেরকে খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে প্রতি সদস্যের জন্য দৈনিক ৪০০ গ্রাম চাল ও ৪০টাকা প্রদান করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ৩টি মেডিক্যাল টিম নিয়মিতভাবে এ সকল শেল্টার সেন্টার পরিদর্শন এবং অসুস্থদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
ভূমিধসে ঘাগড়া ও মানিকছড়ির মধ্যবর্তী স্থানের রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাতছড়ি নামক স্থানে ১০০ মিটার রাস্তা সম্পূর্ণ দেবে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন পাহাড় কেটে বিকল্প রাস্তা তৈরি করছে। আগামী ২দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক মাঝারী ধরনের যান চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। এছাড়া বান্দরবনের চিম্বুক-রুমা সড়কের ৫কিঃ মিঃ রাস্তা যোগাযোগের উপযোগী করা হয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
উল্লে¬খ্য, গত ১৩ই জুন রাঙামাটি-বান্দরবনে ভূমিধসের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সড়কে যোগাযোগ পুনঃ স্থাপন করার সময় তাদের উপর পাহাড় ধসে পড়ায় ২কর্মকর্তাসহ ৫জন সেনাসদস্য নিহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!