॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী গতকাল ১৭ই এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।
এবারের মুজিবনগর দিবস এসেছে নজিরবিহীন এক সঙ্কেটের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করা নভেল করোনা ভাইরাস বাঙালিকেও ঘরে থাকতে বাধ্য করছে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জন সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে সরকার। এ কারণে এ দিবসটি আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন করা হয়নি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতি বছর ১৭ই এপ্রিল রাজাকারমুক্ত, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশগড়ার শপথ করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবার দিবসটি সেইভাবে পালিত হয়নি। ঘরে থেকে আমাদের এবারের শপথ সচেতন হয়ে করতে হবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর একই বছরের ১০ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়।
এ দিন ঘোষিত ঘোষণাপত্রে ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়।
ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেকে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, ঘোষণা করা হয়।
এরই পথপরিক্রমায় ১৭ই এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।