॥স্টাফ রিপোর্টার॥ করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে এবং ভাইরাস সংক্রমণের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বিক ব্যবস্থা বিবেচনায় সরকারী সিদ্ধান্তের আলোকে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারী করা হয়েছে।
গতকাল ২৩শে মার্চ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলসাদ বেগমের স্বাক্ষরিত এ আদেশ জারী করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ(প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এবং দন্ডবিধি, ১৮৬০ মোতাবেক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কারাদন্ড/জরিমানা আরোপ করা হবে।
নির্দেশনাসমূহ ঃ (১) ২৬শে মার্চ থেকে ০৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সরকারী, সাপ্তাহিক ও সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি কার্যকর থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার, ফার্মেসী, হাসপাতাল ও জরুরী সেবা এর আওতামুক্ত থাকবে। (২) ছুটির সময়ে সরকারী সিদ্ধান্তের আলোকে সরকারী অফিসসমূহ যথাসম্ভব না খুলে অনলাইন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। (৩) জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ীর বাইরে যাওয়া যাবে না। (৪) জেলায় কোন নিয়মিত সাপ্তাহিক হাট বসবে না; তার পরিবর্তে হাটের স্থানে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর দোকান খোলা থাকবে। (৫) গণপরিবহন যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। সীমিত চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রী, ড্রাইভার ও সহকারীকে করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। (৬) পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সবরকম সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। (৭) দেশের বাইরে থেকে আগত সকল ব্যক্তিকে, তার পরিবারের সদস্যগণকে এবং সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি ও পরিবারকে নিজ গৃহে আবশ্যিকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। (৮) সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার ইত্যাদি বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীদের আবশ্যিকভাবে তাদের নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করতে হবে। (৯) ব্যাংকসমূহ সীমিত আকারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। (১০) জেলায় মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে। (১১) সকল হোটেল/খাবারের দোকানে বসে খাওয়া বন্ধ থাকবে, তবে খাবার পার্সেলে করে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে। (১২) চায়ের দোকান সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।