॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ করোনায় মৃত্যুতে চীনকে অতিক্রম করেছে ইটালী। এদিকে ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩৯ মিলিয়ন লোক বাড়িতে আটকে রয়েছে। এ যাবত যুক্তরাষ্ট্রের কোন অঞ্চলের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াতেই সবচেয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন চীন থেকে আগত এই ভাইরাস রোধ করায় যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, আজ দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের নিজেদের নাগরিদের কেউ আক্রান্ত হয়নি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উহান নগরী। গত ডিসেম্বর মাসে প্রথম সেখানে এই ভাইরাস দেখা দেয়।
তবে, চীনের এই ভাইরাস প্রতিরোধের কার্যক্রম আশার আলো সঞ্চার করেছে। অনেক রাষ্ট্রই তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, লাখো লাখো মানুষকে তাদের বাড়ির ভেতর আবদ্ধ রেখেছে।
এদিকে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে ছড়িয়ে পড়লে সাড়া বিশ্বের লাখো লাখো মানুষের মৃত্যু ঘটবে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
বিশ্ব নেতারা মনে করছেন, শতাব্দির ভয়াবহতম এই মহামারি, যা এখনো নিয়ন্ত্রনের বাইরে রয়েছে, তার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে পরিমান ক্ষতির আশংকা সৃষ্টি তার তার পরিমান প্রায় ট্রিলিয়ন ডলার।
এএফপি সংকলিত এক পরিসংখ্যানে, দেখা যায় ইউরোপে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। ইটালীতে বৃহস্পতিবার আরো ৪২৭ জনের মৃত্যুতে সেখানে এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জন।
চীনে সরকারী ভাবে মোট ৩ হাজার ২৪৫ জনের মৃত্যুর কথা জানা যায়। শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতাই ছিল এদের মৃত্যুর প্রধান কারণ এবং মৃতদের অধিকাংশই বয়োজ্যেষ্ঠ।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘন্টায় ১০৮ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। এতে করে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭২ জন।
এএফপি’র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনায় বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮০০ জন। ১৫৮ টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৫০ জনেরও বেশি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত বৃহস্পতিবার ভাইরাসের সম্ভাব্য ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করেছেন।
গুতেরেস বলেন, ‘যদি এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণহীন আগুনের মতো ছড়িয়ে পরে, বিশেষত বিশ্বের অস্থিতিশীল অঞ্চলসমূহে তাহলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটবে।’