॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জুম্মার নামাজের খুতবায় ৭টি বিষয়ে আলোচনার জন্য ইমাম ও খতিবদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
এ বিষয়ে গতকাল ১২ই মার্চ বিকালে প্রাপ্ত ইফা’র রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ সাহাবুদ্দিনের গত ১০ই মার্চ স্বাক্ষরিত একটি অনুরাধপত্র সকল মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। তবে জেলার সকল মসজিদে পত্রটি পৌছেছে কি না এ খবর লেখা পর্যন্ত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উক্ত অনুরোধ পত্রে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে জুম্মার নামাজের খুতবায় এবং ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনে বাদ যোহর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা, ২০২০ সালের সরকারী ব্যবস্থাপনার হজ্জ্বযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, ১৭ই মার্চের জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানমালা প্রচারণা, ১৮ই মার্চ-১১ই এপ্রিলের হাম-রুবেলা ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের প্রচারণা এবং জনশুমারী ও গৃহ গণনা তালিকা প্রস্তুতকারীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তার আহ্বান জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় থেকে সারা দেশের মসজিদগুলোতে গত ৬ই মার্চ শুক্রবারের জুম্মার নামাজে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আহ্বান জানানো হলেও রাজবাড়ী জেলার কোন মসজিদেই তা করা হয়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি মসজিদগুলোতে না জানানোয় কোন মসজিদেই এই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়নি।
এ বিষয়ে পরদিন ৭ই মার্চ দৈনি মাতৃকণ্ঠে “ডিডি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া থাকেন ফরিদপুরে॥ইফা’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি॥করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় রাজবাড়ীর মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত হয়নি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ সাহাবুদ্দিনের কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিহীনভাবে জেলা ত্যাগের(ফরিদপুর বাসা থাকায়) সুযোগে এ কার্যালয়ে বিভিন্ন পদের কর্মচারী ও গণশিক্ষার ফিল্ড সুপারভাইজার পদে দীর্ঘ বছরের পর বছর কর্মরতরা রাজবাড়ীর স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় সুবাদে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে সরকারী নির্দেশনাও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় না। তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের কানেশন রয়েছে।