॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক ও বিশেষ সভা গতকাল ১০ই মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ করিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) শেখ শরীফ-উজ-জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিবুল হাসান, যুগ্ম-জেলা জজ (১ম) পারভেজ শাহরিয়ার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান খায়রুল্লাহ, সিনিয়র সহকারী জজ বেগম কাইছুন্নাহার সুরমা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুধাংশু শেখর রায়, মৌসুমী সাহা, সহকারী জজ(গোয়ালন্দ) জাকির হোসেন, রাজবাড়ী সদরের সহকারী জজ (অতিরিক্ত) নূসরাত খানম, জেল সুপার আনোয়ারুল করিম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ মোঃ শফিকুল আজম মামুন, সাধারণ সম্পাদক এডঃ আনিসুর রহমান, জিপি এডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, পিপি এডঃ মোঃ উজির আলী শেখ ও রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবুসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সৈয়দ আব্দুল্লাহ-আল হাবীব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপাতি জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা বলেন, সরকার দেশের গরীব-অসহায় মানুষ যাদের অর্থ খরচ করে আইনী সেবা নেওয়ার ক্ষমতা নেই তাদেরকে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনা খরচে আইনী সেবা প্রদান করছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলায় তৃণমূল পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ২৮শে এপ্রিল সারা দেশে লিগ্যাল এইড দিবস পালন করা হবে। যেহেতু এই বছরটি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর বছর সেহেতু অন্য যে কোন বছরের তুলনায় এবারের লিগ্যাল এইড দিবসের গুরুত্ব অনেক বেশী। বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যার প্রভাব থেকে আমরাও মুক্ত নই। সেই কারণে সরকার বর্তমানে অনেক অনুষ্ঠানই সীমিত পরিসরে করার পরামর্শ প্রদান করছে। সুতরাং যদি লিগ্যাল এইড দিবসের সময় পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের এই দিবসটি পালনের যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে সেই অনুযায়ী দিবসটি পালন করা হবে। আর দিবসটি পালনের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় অনুষ্ঠানটি সুন্দর করতে অবশ্যই সকলের সহযোগিতা পাবো বলে আমি আশা করি।
তিনি বলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের ব্যাপারে খুবই সচেতন। তিনি প্রতিটি জেলায় কীভাবে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম পরিচালিত হয় সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখেন। সভায় অনেক সদস্য লিগ্যাল এইডের জেলা পর্যায়ের কিছু কিছু কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে করার কথা বলেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে উপজেলা পর্যায় থেকে আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ উপজেলা পর্যায়ে লিগ্যাল এইডের কোন কার্যক্রম করার ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানায়নি। ভবিষ্যতে যদি আমাকে উপজেলা পর্যায়ে লিগ্যাল এইডের জেলা পর্যায়ের কোন কার্যক্রম করার আমন্ত্রণ জানানো হয় তবে বিষয়টি অবশ্যই আমি বিবেচনা করবো।
তিনি জেলা লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরতে আহ্বান জানান।
এছাড়াও সভায় বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, চলতি মাসের প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণ ও আইনজীবী নিয়োগ, আইনী সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইনজীবীদের করণীয়, লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।